ওদের মুখের হাসিগুলো ওদের ছোট্ট ছোট্ট মুঠোয় আমার দেওয়া লজেন্সগুলোর থেকেও মিষ্টি। হঠাৎ করে জঙ্গল শেষ। সুয্যিটার মান ভেঙেছে। ঘামের ফোঁটা নামছে। হঠাৎই চোখের সামনে হাজির চৌখাম্বা। পলকের বিস্ময়...থমকে দাঁড়ানো...তার পর আবারও পা ফেলা জঙ্গলের পথে। হাসি মুখে জঙ্গল পথে আচমকা হাজির সারিগ্রামের এক দিদি। তাঁর পোষা ছাগলদের নিয়ে নামছেন। একমুঠো জংলি স্ট্রবেরি দিয়ে বললেন, ‘খেতে খেতে যাও।’ সত্যি সত্যি ওই টক-মিষ্টি বুনো ফলগুলোর মহিমা একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছিলাম। মুখে দিতেই যেন এক লহমায় সব ক্লান্তি উধাও। দিদির হাসি মুখ ধরে রাখি ক্যামেরায়।
জঙ্গল স্যাঁতসেতে...আলো-ছায়া। ধীরে ধীরে উঠে আসি উপরে। এক খণ্ড নীল হঠাৎই নজরে আসে। ভাবি, এমনটা কী করে হয়, আকাশ কি নেমে আসে পৃথিবীর বুকে! আরও একটু উপরে এগোই...। আর তখনই চোখ জুড়ানো সবুজে ঘেরা টলটলে জলে ভরা দেওরিয়া তাল বা লেক। উত্তরে সার বেঁধে কেদারনাথ, মন্দাকিনী, সুমেরু, চৌখাম্বা, ভাতৃঘুণ্টা। হঠাৎ হঠাৎ লুকিয়ে পড়া রোদে কেউ বা মুখ লুকোচ্ছে, কেউ বা ঝকঝকে হাসিতে মন ভরিয়ে দিচ্ছে। আকাশ যদি থাকে ফিরোজা নীল, সূর্য যদি হয় অকৃপণ তবে টলটলে লেকের জলে মৌমাছির মতো লেপ্টে থাকা হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপতে দেখবেন ওই সব তুষারশৃঙ্গের প্রতিচ্ছবি। |