দিল্লি দরবার


দাদু আডবাণী

আডবাণী পরিবার বাড়ছে। গুঞ্জন খুব তাড়াতাড়ি দাদু হচ্ছেন লালকৃষ্ণজি। পুত্রবধূ গীতিকা মা হতে চলেছেন। তিনি এখন মুম্বইয়ে। সেখানেই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর সন্তান হওয়ার কথা। হবু ঠাকুরদা অবশ্য এখন ব্যস্ত লখনউয়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। জয়ন্ত ও গীতিকার সন্তান হবে লালকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী কমলাদেবীর প্রথম নাতি বা নাতনি। কন্যা প্রতিভা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জয়ন্ত রাজনীতিতে নেই, ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। গীতিকার বাপের বাড়ি দিল্লিতেই। তিনিও সিন্ধি পরিবারের মেয়ে। আডবাণী পরিবার অবশ্য এখনই এই সংবাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করতে নারাজ। তবু বিজেপির শীর্ষ নেতারা কেউ কেউ তা জেনে গিয়েছেন। আড়ালে তাঁরা শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন হবু দাদুকে।


শীর্ষে গৌতমই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবালয়ে শেষ পর্যন্ত কে হবেন প্রধান আমলা? জল্পনা অনেক হয়েছে। তবে আপাতত গুঞ্জন হল সিএমও-র প্রধান হচ্ছেন গৌতম সান্যালই। পশ্চিমবঙ্গের আইএএস অফিসারেরা কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন, গৌতম সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট ক্যাডার, তার পরে রেল মন্ত্রকে ছিলেন। আইএএস আমলারা তাঁর নেতৃত্বে খুব একটা স্বস্তি পাবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুনীল মিত্র বা সঞ্জয় মিত্রের মতো অফিসারদের তিনি অন্যত্র গুরুত্ব দিয়ে কাজে লাগালেও সিএমও-তে আনছেন না। মমতার ঘর সংলগ্ন একটি কামরায় গৌতমের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব করা হয়েছে ডবলুবিসিএস অফিসার তাপস চৌধুরীকে। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার শান্তনু বসু রেল মন্ত্রকে মমতার ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। তিনি এখন বসছেন শৈলেশ মুখোপাধ্যায়ের ঘরে। আবার বুদ্ধবাবুর আপ্ত সহায়ক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ঘরে বসছেন আরও এক ডাবলুবিসিএস অফিসার ওওসডি সোমনাথ দে। সুনীল মিত্র দু’মাসের জন্য দিল্লিতে অর্থসচিব হলেও বিশ্বব্যাঙ্কে তাঁর যাওয়া হচ্ছে না। কারণ? পুলক চট্টোপাধ্যায় এখনও রয়েছেন ওখানে। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দিল্লিতে ক্যাবিনেট সচিব করে আনছেনও না। পদ খালি না হলে সুনীল যাবেন কী ভাবে? সঞ্জয় মিত্রেরও এখানে যুগ্ম সচিব হিসাবে সাত বছর কেটে গিয়েছে। এ বার কোনও একটা গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিব হয়ে তাঁর কলকাতা ফেরার কথা। তবে সিএমও-তে থাকছেন মমতার পুরনো সহকারী রতন মুখোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ঘুরে কলকাতা যাচ্ছেন অশোক সুব্রহ্ম্যণমও। রেলের পুরনো সহকারীদের মধ্যে জয়ন্ত সাহা থাকবেন রেল ভবনেই।

রেল কার
রেল ভবনের ২৩৯ নম্বর ঘর। এই ঘরেই বসতেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রতিমন্ত্রী হয়ে মুকুলও সেই ঘরেই বসছেন। গুঞ্জন হল, মুকুল কি রেলের পূর্ণমন্ত্রী হবেন? না কি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হবে তাঁকে? মুকুল যদি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হন, তবে আরও দু’টি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পেতে পারে তৃণমূল। বিমান আর গ্রামোন্নয়ন, এই দু’টি মন্ত্রক নাকি পছন্দ তৃণমূলের। কিন্তু গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দিতে কংগ্রেসের রাজি হওয়া কঠিন। ১২ বা ১৩ জুন রাষ্ট্রপতি ফিরলে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। তবে কংগ্রেসের একাংশ এখনও চান, রেল তাঁদের হাতে ফিরুক। মমতার পদত্যাগের পর এখন এ’টি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, মমতাও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব তৃণমূলের হাতেই রাখতে হবে, না হলে প্রকল্পগুলির সুষ্ঠু রূপায়ণ হবে না। কংগ্রেস এ নিয়ে জেদাজেদি করলে তৃণমূল মন্ত্রিসভা বয়কট করে সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এ আশঙ্কাও রয়েছে মনমোহনের। একে ডিএমকে-কে নিয়ে এত সমস্যা, তার উপরে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হোক, এটা কেন চাইবে কেন্দ্র?

বিস্মিত মনমোহন
বাঘাযতীনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখেন এক বৃদ্ধ বিষণ্ণ মুখে দাঁড়িয়ে। জানতে চান মমতা, কী হয়েছে আপনার? বৃদ্ধ বলেন, “ছেলের জন্য বই কিনতে হবে, টাকা নেই। কী যে করি বুঝতে পারছি না!” সঙ্গে সঙ্গে মমতা তাঁর এক সফর-সঙ্গীর কাছ থেকে পাঁচশো টাকা চেয়ে ওই বৃদ্ধকে দেন। মুখে হাসি ফোটে সেই অচেনা মানুষটির। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সচিবালয়ের অফিসারেরা এ ঘটনা শুনে বিস্মিত। প্রধানমন্ত্রী না কী সব শুনে বলেছেন দিস ইজ মমতা।
Previous Story Desh First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.