কলকাতা এ বার একটি সরকারি অর্থোপেডিক হাসপাতাল পেতে চলেছে।
এত দিন শহরে বিভিন্ন রোগের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও রাজ্য সরকারি বা বেসরকারি স্তরে কোনও অস্থিচিকিৎসার হাসপাতাল ছিল না। সরকারি হাসপাতালগুলিতে অথোর্পেডিক বিভাগের হাল খুবই খারাপ। দুর্ঘটনার পরে জখমদের চিকিৎসা করার যথাযথ পরিকাঠামো কোনও সরকারি হাসপাতালে ছিল না। বনহুগলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এবং হাওড়ায় রেলের অর্থোপেডিক হাসপাতাল থাকলেও রাজ্য সরকারের কোনও অর্থোপেডিক হাসপাতাল এত দিন ছিল না। সেই অভাব ঘোচাতেই এ বার উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার মমতা বলেন, “মেয়ো হাসপাতালকে অথোর্পেডিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপরে চাপ কমবে।”
বহু দিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকা ভবানীপুরের রামরিক হাসপাতালের পুনরুজ্জীবন করানোর কথাও এ দিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপাতত ওই হাসপাতালে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শয্যার সংখ্যা পরে বাড়ানো হবে।”
অন্য দিকে, রাজারহাটে নিউরোলজির একটি হাসপাতাল গড়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে দুঃস্থদের চিকিৎসার সুযোগ তেমন নেই। রাজারহাটে রাজ্য সরকারের ২০ একর জমি রয়েছে। ওই সরকারি জমিতেই গড়ে তোলা হবে একটি নিউরোলজি হাসপাতাল।” |