পুলিশ জানিয়েছে, বরযাত্রীদের বাসে হামলার জেরে বিয়ে অবশ্য ভেস্তে যায়নি। বর অন্য রাস্তায় গাড়িতে পলামুর লেসলিগঞ্জ থানা এলাকার কুন্দ্রু গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছেছিলেন। বিয়ে যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে বরযাত্রীদের বেশির ভাগই বিয়েবাড়িতে পৌঁছতে পারেননি। রাতে ঘটনাটি ঘটলেও পাটান থানার পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সকাল হয়ে যায়। বাসের চালক, কনডাক্টর, ম্যানেজার-সহ বরযাত্রীরা তখনও ঘটনাস্থলে সিঁটিয়ে বসে। বাসের বৃদ্ধ ম্যানেজার ধর্মেন্দ্র মাহাতো শুধু আতঙ্কজড়িত স্বরে বলেন, “জনা ৪০-৫০ লোক বাস ঘিরে ধরে আমাদের নামিয়ে দেয়। চালক-কনডাক্টরকে খুব মেরেছে। বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার পরেও পুলিশ না-আসায় খুব ভয়ে-ভয়ে ছিলাম। জঙ্গিরা ফিরে এসে না-আবার মারধর করে।”
কেন এই হামলা? পাটান থানার ইনস্পেক্টর অর্জুন পাসোয়ান বলেন, “যারা মার খেয়েছে এবং যারা মারধর করেছে, দু’পক্ষই মদ খেয়ে বেসামাল অবস্থায় ছিল। বরযাত্রীরা পাটান ব্লকের বানজারি গ্রামের বাসিন্দা। বাসকে রাস্তা ছাড়া নিয়ে দু’ তরফে বিবাদ বাধে।” পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গ্রাম্য সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে মোটরবাইকে হেলান দিয়ে জঙ্গিরা মদের আসর বসিয়েছিল। বরযাত্রীদের বাস সেই রাস্তায় হাজির হওয়ায় আসরে বাধা সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটি থেকে গোলমাল বাধে। বরযাত্রীরা বুঝতে পারেননি কাদের সঙ্গে ওঁরা ঝগড়া করতে গিয়েছেন। প্রথমে সামান্য হাতাহাতি হয়। তারপরই জঙ্গিরা আরও দলবল ডেকে নিয়ে এসে বাসটাকে ঘিরে ধরে।”
এই ঘটনার পরে দেরিতে আসার অভিযোগ অবশ্য পুলিশ মানতে চায়নি। পলামুর ডিএসপি (গ্রামীণ) সুদর্শনপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।” |