কোনও সরকারি সংস্থা যাতে ইচ্ছেমতো কারও ফোনে আড়ি পাততে না পারে, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নীরা রাডিয়ার ফোনে আড়ি পেতে রেকর্ড করা কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মুখ পোড়ে কেন্দ্রের। তার পরেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কবে, কার ফোনে কেন আড়ি পাতা হয়েছিল, তা তদন্ত করতে সম্প্রতি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দিল্লিতে সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই। বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম ও রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ও। বৈঠকে কোন কোন নম্বরে আড়ি পাতা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতি মাসে রাজ্যগুলিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর আগে জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ নীরা রাডিয়ার টেলিফোনে আড়ি পেতে শোনা যাবতীয় কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিল কেন্দ্র। অভিযোগের আঙুল ওঠে সিডিবিটি (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্স)-এর অধীন আয়কর দফতরের দিকে। এর পরে সিডিবিটি-র ফোনে আড়ি পাতার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব আসে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও অর্থ মন্ত্রকের মধ্যে বিরোধও বেধে দেয়। শেষ পর্যন্ত পি চিদম্বরম ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বৈঠকে অবশ্য বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র চাইছে, আড়ি পাতা হলেও একটা সময়ের পর কথোপকথনের রেকর্ড পাকাপাকি ভাবে নষ্ট করে ফেলা হোক। কম্পিউটার বা সিডি-তেও তা রাখা যাবে না।
কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের সংস্থাগুলি কাদের ফোনে আড়ি পাতছে, তা থেকে কতটাই বা সুবিধা হচ্ছে, তার বার্ষিক পর্যালোচনা হবে। এ জন্য ক্যাবিনেট সচিবের আওতায় একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার তরফে কারও ফোনে আড়ি পাতা হলে সেই বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে। |