বিদায়ী আইজি সিংহ কাল খোলাখুলি ভাবেই জানান, গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই অনুপ্রবেশ একটা কঠিন সমস্যা। আর শুধুমাত্র বিএসএফের নজরদারির উপরে ভরসা করে এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে কৌশল বদলের সময় এসেছে। এখন যা অবস্থা, বিএসএফ-এর চোখকে ফাঁকি দিতে পারলেই আর ভয়ের কিছু নেই। তাই শুধু নিয়মমাফিক বিএসএফের চেকিং নয়, অনুপ্রবেশকারীকে শণাক্ত করতে আরও দুই-তিন দফায় ব্যবস্থা রাখা দরকার।” সিংহের অভিমত, সে দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশ পালন করতে পারে। পাশাপাশি, স্থানীয় গ্রামবাসীদেরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুপ্রবেশ বন্ধ না হওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশ এবং গ্রামবাসীদেরও পরোক্ষে দায়ী করেন বিদায়ী এই বিএসএফ কর্তা। বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে এনে সিংহ বলেন, “ওই দেশে স্থানীয় বাসিন্দারাই অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দেন। কিন্তু এ দেশে চিত্রটা একেবারেই উল্টো। গ্রামবাসীরাই অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাকারবারে মদত দেন।” সিংহের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু লোকের মদতেই সীমাম্ত পেরিয়ে এ দেশে পাচার করা হচ্ছে রাশি রাশি জাল নোট। জাল প্রায় চার লক্ষ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি।
বিএসএফের বিদায়ী আইজি সঞ্জয় সিংহ আরও জানান, কাঁটাতারের বেড়ার দৌলতে অনুপ্রবেশ কিছুটা রোধ করা গিয়েছে। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কোথাও ঘন জঙ্গল বা দুর্গম পাহাড়, কোথাও আবার নদী বরাবর সীমান্ত। এ ছাড়া যে সব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে, তা-ও চলছে বড় ঢিমে তালে। নদীর পাড় বাঁধানোর ব্যাপারেও তিনি রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তাঁর অভিমত, নদীর পাড় যত ভাঙবে, সীমান্ত নিয়ে সঙ্কটও তত জটিল হবে। |