পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুয়াহাটির লখরা এলাকা থেকে বর ও বরযাত্রী নিয়ে, পাঠশালায় কনের বাড়ি যাচ্ছিল বাসটি। বেতকুচির বাসিন্দা নবকুমার শর্মার সঙ্গে টিহুর গীতুমণি দেবীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গুয়াহাটির সেউকুচি থেকে বরযাত্রীদের সঙ্গেই বাসে রওনা হন বর নবকুমার। তাঁর জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হলেও তিনি ঠিক করেন সকলের সঙ্গে বাসেই যাবেন। বাসে মোট ৩৮ জন যাত্রী ছিলেন।
হাজো-নলবাড়ির পথে, চরবাড়ি কালী মন্দিরের কাছে খাল পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খালে পড়ে। তখন রাত প্রায় ১১টা। সেতুর কাঠের রেলিং ভেঙে খালে পড়ে বাসটি পুরোপুরি জলে ডুবে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জলে নেমে ৬ জনকে জীবন্ত উদ্ধার করেন। তাঁদের নলবাড়ি সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জীবিত বাসযাত্রীরা জানান, বাসে ৪৩ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু জল গভীর থাকায়, ভিতরে আটকে থাকা আর কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা রাতভর খালের জলে, বাসের ভিতরে আটকে থাকা মৃতদেহগুলি উদ্ধারে হাত লাগান। ১৭টি দেহ তাঁরাই উদ্ধার করেন। সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নৌকা ও ডুবুরিরা আসে। ক্রেন দিয়ে বাসটি তোলা হয়। আরও ১১টি মৃতদেহ তুলে আনেন ডুবুরিরা। বর নবকুমার শর্মা (৩২) ছাড়াও তাঁর বাবা বীরেন শর্মা, পিসি অনিমা দেবী (৫৫), বোন জুমি দেবী (২৭), ভগ্নীপতি গোপাল শর্মা (৩৬), আত্মীয় গীতাঞ্জলি দেবী ও তাঁর ৪ বছরের সন্তান এবং বাকি বন্ধু ও আত্মীয়দের দেহ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। |