প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব ছিল রাজ্যের উদ্যানচর্চা দফতরের উপরে। এ জন্য কমিটিও তৈরি হয়। এর চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ সিপিএমের সুধাংশু শীল। কেন কাজ হয়নি? সুধাংশুবাবু বলেন, “ফুলবাজারের দোকানিদের তালিকা চূড়ান্ত করতে প্রথম দিকে কিছু সমস্যা হয়েছিল। এর পরে সমস্যা দেখা দেয় কাজ চলার সময়ে কোথায় ওঁদের পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে।” ঠিক হয়েছিল, ১২০ জন দোকানিকে অস্থায়ী ভাবে পাশে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানো হবে। ওই জায়গার জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এক কোটি টাকা চান রাজ্য সরকারের কাছে। উদ্যানচর্চা দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী মোহন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০০৯-এ ওই টাকা আমরা দিই। ১২০ জনের অস্থায়ী প্রকল্প তৈরির জন্য রাজ্যের তরফে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ২০০৮-এ তৈরি হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত ‘ফুলবাজার বাঁচাও কমিটি’। তারা নানা ঝামেলা করে। প্রকল্প আর রূপায়িত হয়নি।”
‘ফুলবাজার বাঁচাও কমিটি’র অবশ্য অভিযোগ, “প্রকল্প রূপায়ণের সরকারি কমিটি স্বেচ্ছাচারিতা করছিল। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কমিটির প্রধান সুধাংশুবাবুর বদলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা হোক। তা মানা হয়নি।” এ প্রসঙ্গে মোহন্তবাবুর বক্তব্য, “আমরা মহাকরণের বৈঠকে নীতিগত ভাবে সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু পরিবর্ত জায়গায় দোকানিরা সরলেন না, আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।” সুধাংশুবাবু বলেন, “কেন্দ্র ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট চাইছিল। আমরা দিতে পারছিলাম না। গত বছর অগ্রিম হিসেবে দেওয়া টাকা আমরা ফিরিয়ে দিই।”
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে দফতরের অফিসারদের সঙ্গে এবং রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মন্ত্রী আবু হেনা। তিনি বলেন, “শীঘ্র প্রকল্পটির কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” এ ব্যাপারে সুধাংশুবাবুর প্রতিক্রিয়া, “সে ক্ষেত্রে আমরা ওঁদের সব রকম সহযোগিতা করব।” |