|
|
|
|
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দারিদ্র বাড়াবে এশিয়ায়, হুঁশিয়ারি এডিবি-র |
সংবাদসংস্থা ² নয়াদিল্লি |
খাদ্যপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি এশিয়াবাসীদের এক বড় অংশকে চরম দারিদ্রের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এক সমীক্ষায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এডিবি। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় দ্রুত মন্দা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির কায়েম করা সত্ত্বেও, এ বার তা বজায় রাখা নিয়েই এশিয়ার দেশগুলিতে সংশয় দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম ছাড়াও যার জন্য দায়ী বিশ্ব বাজারে তেলের দামে উল্কাগতি।
সম্প্রতি খাদ্যপণ্যের মূলবৃদ্ধি নিয়ে ‘গ্লোবাল ফুড প্রাইস ইনফ্লেশন অ্যান্ড ডেভেলপিং এশিয়া’ নামে এক সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থা এডিবি। এবং সমীক্ষায় ইঙ্গিত, এশিয়ার বেশ কিছু দেশে চলতি বছরেই খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি গড়ে প্রায় ১০% ছুঁয়ে ফেলায় মহাদেশটির আরও ৬ কোটি ৪০ লক্ষ (মোট জন সংখ্যা যেখানে ৩৩০ কোটি।) মানুষের চরমতম দারিদ্রের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যে সীমার নীচে পৌঁছলে দিন গুজরান করার সম্বল টেনেটুনে দৈনিক ১.২৫ ডলার। এবং খাবার জোগাড়ের খরচ বাড়লে এই সমস্ত দরিদ্র পরিবার অবধারিত ভাবেই কোপ ফেলতে বাধ্য হবে চিকিৎসা ও সন্তান-সন্ততিদের পড়াশোনার খরচের উপর, জানিয়েছেন এডিবি-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ চ্যাংইয়ং রি। তাঁর দেওয়া হিসাবে ইতিমধ্যেই উন্নয়নশীল এশিয়ার গরিব পরিবারগুলি তাদের আয়ের ৬০ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করে খাওয়ার খরচের খাতে।
সমীক্ষা বলছে, এশিয়ার বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনীতিতে দ্রুত বাড়তে থাকা খাদ্যপণ্যের দামের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করছে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৩১ মাসে সর্বোচ্চ অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলা অশোধিত তেলের দাম। ফলে শুধু দারিদ্র বৃদ্ধিই নয়, ধাক্কা খাচ্ছে মন্দার সঙ্গে যুঝে এশিয়ার ওই দেশগুলির ঘুরে দাঁড়ানোর গতিও। এমনকী এই মুল্যবৃদ্ধির ছায়া যদি বছরের বাকি সময়েও এশিয়ার পিছু না ছাড়ে, তবে মহাদেশটির আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৫% পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা।
এ ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদে এই সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ বলেই মনে করেছে এডিবি-র সমীক্ষা। কারণ তাদের মতে বেশ কিছু কারণেই খাদ্যপণ্যের মূলবৃদ্ধির ধারা চট্ করে কমে যাওয়া মুশকিল। এগুলি হল |
l উৎপাদনে ঘাটতি
l জনসংখ্যা ও উন্নয়নশীল দেশের আয় বাড়ার দৌলতে বর্ধিত চাহিদা
l কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসা
l দুর্বল মার্কিন ডলার
l তেলের আকাশছোঁয়া দাম
l রফতানির উপর বেশ কিছু প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী দেশের নিষেধাজ্ঞা |
তাই দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা যুঝতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে লগ্নির উপর জোর দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন রি। উৎপাদিত শস্য নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে তা মজুত রাখার প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের পথে হাঁটারও পরামর্শ দিয়েছে এডিবি। |
|
|
|
|
|