|
|
|
|
বিজেপিকে ঠেকাতে পুবে তাকাও নীতি কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৬ ফেব্রুয়ারি |
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি-র সঙ্গে পাল্লা দিতে মরিয়া কংগ্রেস অস্ত্র করতে চাইছে বিদেশ নীতিকে।
লোকসভা ভোটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি দখলের জন্য নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। তারই পাল্টা হিসেবে বিমস্টেক (বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড এবং ভারত) সম্মেলনকে কাজে লাগিয়ে বিদেশ নীতি সম্পর্কে বার্তা দিতে চাইছে কংগ্রেস।
আগামী ৪ তারিখ বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে মায়ানমার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই তাঁর শেষ বিদেশ সফর। আজ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘পুবে তাকাও’ নীতিকে নতুন করে ঝালিয়ে নেবেন। এই নীতির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির আর্থিক হাল ফেরানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ওই রাজ্যগুলির মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, বাণিজ্য বাড়ানো এবং পূর্ব এশিয়ার দরজা তাদের সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কিছু হাতে গরম পদক্ষেপ করারও চেষ্টা করা হবে।
সম্প্রতি অসম, অরুণাচল এবং ত্রিপুরায় জনসভা করেছেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। এমন ঘটনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিরল। বিষয়টি নজর এড়ায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বেরও। দলের পক্ষ থেকে সরকারকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে, শেষ বিদেশ সফরে অন্তত কিছুটা হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মাটি যেন পোক্ত করা হয়। বিশেষত যখন সুযোগ রয়েছে বিমস্টেক-এর সম্মেলনকে কাজে লাগানোর।
১৯৯৭-এ সাতটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিমস্টেক গোষ্ঠী তৈরি করা হয়। গোষ্ঠী হিসেবে বিমস্টেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিশ্বের ২২% জনসংখ্যার অধিকারী। দেশগুলির মোট অর্থনীতির পরিমাণ প্রায় এক হাজার বিলিয়ন ডলার। আজ বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ বলেন, “উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে আমরা পাদপ্রদীপের তলায় আনার চেষ্টা করব। বিমস্টেক-মঞ্চে ভারত সংযোগ এবং যোগাযোগ, পর্যটন, পরিবেশ এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় নেতৃত্ব দেয়।” |
|
|
|
|
|