|
|
|
|
অসম পুলিশকে বিঁধল আলফা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২৬ ফেব্রুয়ারি |
‘বহিরাগত’ সঞ্জয় সিংহকে অসম থেকে রাজ্যসভা সাংসদ মনোনীত করায় মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সমালোচনায় সরব আলফা স্বাধীন। সংগঠনটির মুখপত্র ‘স্বাধীনতা’য় বলা হয়েছে, রাজ্যের স্বার্থ বিক্রি করে ওই পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে ‘ভুয়ো’ ঠিকানা ব্যবহার করে অসমের সাংসদ ‘সেজে’ বসে রয়েছেন, সেখানে সঞ্জয় সিংহের বিরোধিতা করে কী লাভ? অসম সরকার ক্ষমতার জোরে এ সব করতেই থাকবে।
অসম পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছে জঙ্গি সংগঠনটি। আলফার দাবি, দু’বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণের ঘটনার পর তাদের দিকেই আঙুল তুলেছে পুলিশ। কিন্তু বাস্তবে বিস্ফোরণ ঘটেছে পুলিশেরই ষড়যন্ত্রে। অসম পুলিশকে রাজ্যের সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বিভাগ হিসেবেও চিহ্নিত করেছে আলফা। অসমে সন্ত্রাস জিইয়ে রাখার জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি প্রাক্তন জঙ্গিদের সমান ভাবে দায়ী করেছে তারা।
দেশের মূল ভূখণ্ডে উত্তর-পূর্বের মানুষের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছে আলফা স্বাধীন। সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘ভারতীয়রা উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হিসেবেই মনে করে। এখানকার নাগরিকরা তা-হলে কোন যুক্তিতে নিজেদের ভারতীয় বলে ভাববেন?”
অন্য দিকে, আলফা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া এবং তার সঙ্গীদের ষড়যন্ত্রে আলফা স্বাধীনের সহকারী অর্থ সচিব পার্থ অসমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জঙ্গি সংগঠনটির বক্তব্য। আলফা স্বাধীনের দাবি, শান্তি আলোচনার আড়ালে শুধু অর্থই সংগ্রহ করে চলেছে রাজখোয়ার দলবল। পার্থর মতো অনেক আলফা সদস্যকেও ভুল বোঝাচ্ছে। বিলাসবহুল জীবনযাপনের লোভে শহিদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন রাজখোয়া। ভারতের অঙ্গুলি হেলনেই এ সব করা হচ্ছে। পরেশপন্থীদের দাবি, ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বাধীনতার সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া রাজখোয়াকে ১৪ হাজার শহিদের বলিদানের জবাবদিহি করতে হবে। |
|
|
|
|
|