|
|
|
|
|
চেন্নাইয়ে ধর্ষণ ও খুন,
ট্রেনে ধৃত মালদহের যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
চেন্নাই মেলে উঠে বাংলায় ফিরে গা-ঢাকা দিতে চেয়েছিল মালদহের যুবকটি। চেন্নাইয়ে ধর্ষণ ও খুনের একটি মামলায় অভিযুক্ত ওই বাঙালি যুবককে সেই ট্রেনের মধ্যেই ধরে ফেলল পুলিশ। বুধবার কাকভোরে ঘটনাটি ঘটে ওই ট্রেন হাওড়া স্টেশনে ঢোকার আগেই। ধৃতের নাম উজ্জ্বল মণ্ডল।
তামিলনাড়ুর এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে উত্তম মণ্ডল ও রাম মণ্ডল নামে মালদহের অন্য দুই যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। চেন্নাই সিআইডি-র ডিজি নরেন্দ্র পাল সিংহ ফোনে বলেন, “তিন যুবকই চেন্নাইয়ে থাকত। চেন্নাই পুলিশ মঙ্গলবার সেখানেই উত্তম ও রামকে ধরে। তাদের কাছেই উজ্জ্বলের কথা জানা যায়।” উজ্জ্বল তত ক্ষণে চেন্নাই মেলে চেপে হাওড়ার পথে। তা জানতে পেরে চেন্নাই সিআইডি-র একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যার বিমানে পৌঁছে যায় কলকাতায়। রাতে পৌঁছয় খড়্গপুরে। সেখান থেকেই চেন্নাই মেলে উঠে তাঁরা খুঁজতে শুরু করেন উজ্জ্বলকে। হাওড়ায় পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যায় উজ্জ্বল।
চেন্নাই পুলিশ সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর ওই তরুণী চেন্নাইয়ের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন। চেন্নাই শহর থেকে তাঁর বাড়ি বেশ কিছুটা দূরে। তাই শহরেই ঘর ভাড়া করে থাকতেন। ভ্যালেন্টাইন ডে-র আগের রাতে তিনি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর পিছু নেয় উজ্জ্বল, উত্তম ও রাম। তরুণীর অফিসের কাছেই একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করত তারা। অভিযোগ, চেন্নাইয়ের কেলামবাক্কাম নামে এক জায়গায় নির্জন ঝোপে তরুণীকে ধর্ষণ করে। টাকার ব্যাগ, হার, দুল, আংটি ছিনিয়ে নেয়। তার পরে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে।
নিখোঁজ-ডায়েরি করার ১০ দিন পরেও ওই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই ঝোপ থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৫ তারিখে গ্রেফতার হয় দু’জন। উদ্ধার হয় ধারালো ছুরি, আংটি ও দুল। এর মধ্যে তরুণীর এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকাও তুলেছিল দুষ্কৃতীরা। ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর ক্রেডিট কার্ডও।
বুধবার উজ্জ্বলকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। ২ মার্চ পর্যন্ত উজ্জ্বলকে নিজেদের হেফাজতে রাখার অনুমতি পেয়েছে চেন্নাই সিআইডি। তার মধ্যেই অফিসারেরা তাকে নিয়ে চেন্নাই চলে যাবেন। তার সঙ্গী উত্তম ও রামকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে চেন্নাইয়ের চেঙ্গালপেট আদালত। |
|
|
|
|
|