স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুযোগ মিলবে রেল এলাকায় |
রেল এলাকাকেও পুরসভার স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল খড়্গপুর পুরসভা। মঙ্গলবার পুরসভার রেল এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি ওয়ার্ডে একযোগে ওই পরিষেবা চালু করা হল। পরবর্তীকালে রেল এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি ওয়ার্ডের বাকি ৫টি ওয়ার্ডেও স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরসভার দাবি, এর ফলে রেল এলাকার বিপিএল তালিকাভুক্ত বস্তির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প’-এর মাধ্যমে শহর এলাকায় পুরসভা এই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলি নিখরচায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন। পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের বাকিগুলিতে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। গত ২০১০ সালের পুর-নির্বাচনের আগে এলাকা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে রেল এলাকাও পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিন রেল এলাকার ২০, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। এজন্য ওই ওয়ার্ডগুলিতে একটি করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়া হবে। এছাড়াও এ দিন থেকে ওই তিনটি ওয়ার্ডের বিপিএল তালিকাভুক্ত বাসিন্দাদের এই পরিষেবায় নাম নথিভুক্তি করে কার্ড বিলির কাজও শুরু হল। রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “এত দিন ওই ৮টি ওয়ার্ডের বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষেরা নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। আমরা তাঁদের ওই প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করলাম।”
|
পুরসভা পরিচালিত একবালপুর মাতৃসদনে নতুন ভাবে ৩০ শয্যার প্রসূতি বিভাগ চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। চালু হবে চার শয্যার এসএনসিইউ, নতুন লেবার রুম ও পূর্ণাঙ্গ ওটি। স্বাস্থ্য দফতরের টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, পয়লা বৈশাখের আগেই নতুন ওই বিভাগগুলি কাজ শুরু করতে পারবে বলে তাঁর আশা। এসএসকেএম-এর সঙ্গে একবালপুর নার্সিংহোমের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রটিকে সংযুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
|
থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণায়ক শিবির হল বড়জোড়ায়। রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ও বড়জোড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এবং বাঁকুড়া মেডিক্যালের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের সহযোগিতায় সোমবার ওই শিবিরে ১৫৩ জনের রক্ত পরীক্ষা হয়। |