পরিসংখ্যান বলছে, যে সব ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গা তিন বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন, সে সব ম্যাচের ৭০ শতাংশ জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
মঙ্গলবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের শেষে মালিঙ্গার বোলিং হিসাব ৯.৫-০-৫২-৫। এর পরে পাকিস্তানের জেতা সম্ভব ছিল না। জিততেও পারেনি মিসবা উল হকের দল। তবে ২৯৬ রান তাড়া করে খুব কাছাকাছি এসে গত বারের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান থেমে গেল ২৮৪ রানে।
ইনিংসের শেষ দিকে মালিঙ্গার বিধ্বংসী স্পেল শুরু হওয়ার আগে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা পাকিস্তানই বার করে দেবে। ক্রিজে তখন জমে যাওয়া মিসবা (৮৪ বলে ৭৩) এবং উমর আকমল (৭২ বলে ৭৪)। ৮ ওভারে করতে হবে ৫৫ রান। ওখান থেকে আকমলকে ফেরান লাকমল। তারপর বাকিটা মালিঙ্গা। স্লগ ওভারে তাঁর শিকার মিসবা, আফ্রিদি, ভাট্টি, গুল এবং আজমল। |
মালিঙ্গা ঝড়ের আগে শ্রীলঙ্কা ইনিংসের নায়ক ছিলেন সদ্য ওপেনারের দায়িত্ব পাওয়া থিরিমানে।
তাঁর সেঞ্চুরি (১০২) এবং সঙ্গকারার (৬৭) ইনিংস প্রায় তিনশো রানের কাছে পৌঁছে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। শেষ দিকে ভাল খেলেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজও (৫৫)।
দলকে প্রথম ম্যাচ জিতিয়েও অবশ্য নিজের বোলিংয়ে তৃপ্ত নন মালিঙ্গা। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলছিলেন, “আমি সে ভাবে ছন্দে নেই। আগের দু’টো এবং এই ম্যাচটার প্রথম দিকটায় মোটেও ভাল বল করতে পারিনি। আজ সে রকম শিশির পড়েনি বলে সমস্যা হয়নি। আমি চেষ্টা করেছিলাম নিজের বৈচিত্রটাকে কাজে লাগাতে। স্লোয়ার করেছি, বাউন্সার দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিততে পেরে খুব ভাল লাগছে। তবে আমাদের শুরুটা যে রকম হয়েছিল, তাতে আরও কুড়িটা রান বেশি হতে পারত।”
এত কাছে এসেও ম্যাচটা না জেতায় আফসোস যাচ্ছে না মিসবার। উমর আকমলের প্রশংসা করেও পাক অধিনায়ক বলছেন, “কোনও সন্দেহ নেই, আকমল এ দিন খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমাদের হাতে ছ’টা উইকেট ছিল এক সময়। রানও বেশি ছিল না। ওখান থেকে ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। আকমল বাজে শট খেলে আউট হল।”
একটা সময় মালিঙ্গা সাত ওভার বল করেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি। তারপরের ১৪ বলে শ্রীলঙ্কার পেসারের শিকার পাঁচ পাক ব্যাটসম্যান। যেখান থেকে ম্যাচটা জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ২৯৬-৬ (থিরিমানে ১০২, সঙ্গকারা ৬৭। গুল ২-৩৮)।
পাকিস্তান ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ (আকমল ৭৪। মালিঙ্গা ৫-৫২)। |