|
|
|
|
রেলের বিশেষ অভিযানে জরিমানা আদায় ১৩ হাজার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দীর্ঘদিন পর ফের বিনা টিকিটের ট্রেন যাত্রীদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করল রেল। মঙ্গলবার মেদিনীপুর স্টেশনে সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জন বিনা টিকিটের যাত্রীকে হাতেনাতে ধরেন টিকিট পরীক্ষকেরা। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৫১ জনকে হাজির করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ মোট ১৩৩৮৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর বাইরেও টিকিট পরীক্ষকেরা সরাসরি কিছু বিনা টিকিটের যাত্রীকে জরিমানা করেছেন।
এ দিনের অভিযানে নেতৃত্ব দেন খড়্গপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার ও কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর অনিল জেরয়। রাজেশ কুমার জানান, “এ বার থেকে বড় বড় স্টেশনগুলিতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।” রেল সূত্রে খবর, মেদিনীপুর ছাড়াও খড়্গপুর, পাঁশকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে হঠাৎ করে এই ধরনের অভিযান চালানো হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনে নিয়মিত টিকিট পরীক্ষার জন্য টিকিট পরীক্ষক রয়েছেন। কোনও ট্রেন স্টেশনে এলেই যাতায়াতের পথে টিকিট পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। |
|
মেদিনীপুর স্টেশনে টিকিট পরীক্ষা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
দু’জন টিকিট পরীক্ষক যাতায়াতের পথে দু’দিকে থাকতে পারেন। কিন্তু এক সঙ্গে বহু যাত্রী হুড়মুড়িয়ে বেরোন। ফলে সকলের টিকিট পরীক্ষা সম্ভব হয় না। সেই সুযোগে অনেক বিনা টিকিটের যাত্রী বেরিয়ে যান। অনেকে আবার ঘুরপথে পালান। কিছু ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষকদেরও গাফিলতি রয়েছে। নিয়মিত টিকিট পরীক্ষা করা হয় না। আবার অনেক সময় দল বেঁধে কিছু মানুষ বিনা টিকিটে যাতায়াত করেন। দু’জন টিকিট পরীক্ষকের পক্ষে তাঁদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় সম্ভব হয় না। ঝামেলা বাধার আশঙ্কা থাকে। এই সব নানা কারনে বিনা টিকিটে যাতায়াতের একটা প্রবণতা বাড়ছিল। এতে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছিল টিকিট কেটে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে। অন্যদিকে রেলেরও আয় কমছিল। তাই এ বার থেকে নিয়মিত তল্লাশির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ তল্লাশিতে সহজে কেউ পালাতে পারেন না। কারণ, চারদিকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে অভিযান চালানো হয়। এ দিনও যেমন মেদিনীপুর স্টেশনে বিশেষ অভিযানে রেলের তিন জন আধিকারিক ছিলেন। ছিলেন ২৮ জন টিকিট পরীক্ষক, ১৪ জন আরপিএফ ও ৮ জন রেল পুলিশ। ফলে সহজেই দু’-তিনটি প্লাটফর্মে একসঙ্গে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী বেশি থাকায় বিনা টিকিটের যাত্রীরাও ঝামেলা করার সাহস দেখাননি।
রাজেশ কুমারের কথায়, “আপাত দৃষ্টিতে এ দিনের জরিমানার পরিমাণ কম দেখালেও বিষয়টি হালকা করে ভাবার কারণ নেই। এর ফলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করবে। সকলেই টিকিট কেটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে রেলের আয় বাড়বে।” |
|
|
|
|
|