দলের দুই গোষ্ঠীর মারপিটে ভণ্ডুল হয়ে গেল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা। সোমবার রাতে গোঘাট ২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। সামসুন্নিহারা বিবি নামের এক মহিলাকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষই বিডিওর কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে। এক পক্ষ থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত বলেন, “দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানি। আমার কাছে মারপিটের অভিযোগ হয়নি।” তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গোঘাট ২ ব্লক এলাকার তৃণমূল নেতা আতাউল হক এবং এককালে তাঁরই ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ফরিদ খানের দ্বন্দ্বে বছর দু’য়েক ধরে মারপিট লেগেই আছে। গোঘাট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফরিদ খানের অভিযোগ, “ওই পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের মাস্টাররোলে প্রচুর ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে টাকা আত্মস্মাৎ করা-সহ বেশ কিছু দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করতে পঞ্চায়েতে পৌঁছে দেখি, বাইরের অনেক লোক বসে আছে। তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বললে উপপ্রধান ফজলুল হক আমার জামার কলার ধরে হেনস্থা করেন। তাঁর দাদা আতাউল হক লোকজন এনে আমাদের কয়েক জনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।”
অভিযোগ উড়িয়ে ফজলুল বলেন, “ফরিদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সে গোলমাল বাধায়। মারধর শুরু করে। সভায় বাইরের লোক এনে ফরিদই সভা ভণ্ডুল করেছে।” আতাউল বলেন, “ফরিদ লোকজন এনে মারধর করছিল। আমাকে ওখানে গিয়ে গোলমাল থামাতে হয়। ফরিদ বা ওঁর লোকজনকে মারধর করা হয়নি।” |