বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকা দুর্গাপুরের ডেয়ারি ফের চালু করা হতে পারে এ বছরের মাঝামাঝি, এমনই আশার কথা শোনালেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর। মঙ্গলবার বর্ধমানে বন্ধ থাকা সরকারি ডেয়ারি আবার চলু করার অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা।
বছর তিনেক আগে থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুরের এই ডেয়ারিতে। তার পরেও বছরখানেক হরিণঘাটা থেকে দুধ এনে সরবরাহ করা হচ্ছিল সেখান থেকে। কিন্তু ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে তা-ও বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি দুর্গাপুরে কর্মরত মহিলাদের একটি হস্টেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেছিলেন, “শীঘ্রই এই ডেয়ারিটি ফের খোলার ব্যাপারে যাবতীয় উদ্যোগ শুরু হয়েছে।” মাস কয়েকের মধ্যে তা চালু করার চেষ্টা চলছে বলে আশ্বাস মিলল মঙ্গলবার।
বর্ধমানে এ দিন মন্ত্রী স্বপনবাবু দুধ উৎপাদকদের কাছ থেকে কেনা দুধের দাম লিটার প্রতি দু’টাকা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বলেন, “গো-খাদ্য, গবাদি পশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ সরকারের তরফে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও আমরা উপযুক্ত পরিমাণ দুধের সরবরাহ পাচ্ছি না। তাই আমরা দুধ উৎপাদকদের লিটার পিছু দু’টাকা বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি এ বার উৎপাদকেরা বেসরকারি ডেয়ারিগুলির পরিবর্তে সরকারকে দুধ সরবরাহ করতে উৎসাহিত হবেন।” মন্ত্রী অভিযোগ করেন, শুধু দুগ্ধ পালকেরাই নয়, বর্ধমান জেলায় থাকা দুগ্ধ সমবায়গুলিও আর্থিক সুবিধার জন্য তাদের উৎপাদিত দুধ সরকারকে না দিয়ে বেসরকারি ডেয়ারিগুলিকে দিয়ে দিচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছে সরকারি দুগ্ধ প্রকল্প।
দুগ্ধ মহাসঙ্ঘের চেয়ারম্যান পরশ দত্ত অনুষ্ঠানে দাবি করেন, “দুধে ভেজাল সংক্রান্ত আইন আরও কড়া করা উচিত। এখন দুধে কেউ ভেজাল দিয়েছে প্রমাণিত হলে দশ বছরের কারাদণ্ড হয়। আমরা চাই, সেই আইন সংশোধন করে এই সাজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে নিয়ে যাওয়া হোক।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্য মিল্ক কমিশনার দিবাকর মুখোপাধ্যায়ও গো-পালকদের সরকারের কাছে দুধ বিক্রির আবেদন করেন। |
