সাইকেল বিলি অনুষ্ঠানে এসে বহু ছাত্রীকে ফিরতে হল খালি হাতে। রবিবার নদিয়া জেলা প্রশাসন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ হাজার দেড়েক পড়ুয়াকে ডেকেছিল কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম মাঠে। কিন্তু প্রশাসনের হিসেবে ৬০০ জনকে সাইকেল দেওয়া গিয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ফেলে অনুষ্ঠানে এসে সাইকেল না পেয়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশ জেলাশাসকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা ও সাইকেল বিতরণের জন্য দিন কয়েক আগে জেলার প্রায় শ’খানেক স্কুলকে খবর পাঠানো হয়েছিল। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় হাজার দুয়েক ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে কন্যাশ্রীর টাকা হস্তান্তর করেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সাইকেল বিলির সময়। |
জেলাশাসককে ঘিরে ক্ষোভ ছাত্রীদের। —নিজস্ব চিত্র। |
উপস্থিত ছাত্রীর তুলনায় সাইকেলের সংখ্যা কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও সাইকেল পায়নি অনেকেই। নদিয়া জেলা পরিষদের সচিব অভিরূপ বসুকে মাইকে ঘোষণা করতে হয়, “উপস্থিত সব ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সাইকেল কম রয়েছে।” যদিও জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, ‘‘আমরা চাইলেও সকলকে সাইকেল দিতে পারতাম না। কারণ অনুষ্ঠান শুরু হতেই দেরি হয়ে গিয়েছিল। বাইরে থেকে আসা ছাত্রীরা সন্ধ্যায় সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারত না। তাই শহরের আশপাশের পড়ুয়াদেরই সাইকেল দেওয়া হয়েছে। বাকিরা দুই-একদিনের মধ্যে স্কুল থেকেই সাইকেল পাবে।”
রানাঘাটের শ্যামলী হাঁসদা বলে, “গত শুক্রবারেও প্রশাসন আমাদের এই স্টেডিয়াম মাঠে ডেকে এনেছিল। সে দিন দেখি ফাঁকা মাঠ। আজকেও আমাদের ডেকে এনে হেনস্থা করা হল। সাইকেল দেওয়া হল না। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন ডেকে এনে জেলা প্রশাসন আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলল।”
|