‘হাডিন, দ্যাখো’
অস্ট্রেলীয় কিপারকে বোল্ড করে স্টেইন। ছবি: এএফপি। |
আগের দিন সেঞ্চুরি থেকে সাত রান দূরে শেষ করা আহত হাসিম আমলা এ দিন ১২৭-এ পৌঁছনোর পর গ্রেম স্মিথ যখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭০-এ। অর্থাৎ ৪৪৭-এর লিড। শেষ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই এ দিনই ম্যাচটা শেষ করতে চাইছিলেন স্মিথ। সেই লক্ষ্য এ ভাবে পূরণ হওয়ার পর স্মিথের প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, “ইটস বিন আমেজিং”। তার পর বললেন, “গ্যালারিতে প্রচুর প্রত্যাশা নিয়ে আসা মানুষ সব সময় চিৎকার করছে। তাঁরা ভাবেন স্টেইন বল করতে আসা মানেই পাঁচ উইকেট নেবে। তার উপর কালকের পূর্বাভাস। এত চাপের মধ্যেও যে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বল করল, এটাই দারুণ ব্যাপার। পরের টেস্টগুলোতে আরও ভাল খেলব আমরা, দেখে নেবেন।”
জয়ের জন্য ৪৪৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার রজার্স ও ওয়ার্নার দু’জনে মিলে ১২৬ রান তোলার পরই ধস নামা শুরু। ওয়ার্নারকে (৬৬) এলবিডব্লু করেন ম্যাচের সেরা দুমিনি। ওই সময়ে স্মিথের বোলার পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করতে বাধ্য হলেন ক্লার্কও। ‘লকগেট’ খুলে যাওয়ার পরই একে একে ডুলান ও শন মার্শকে ফেরান যথাক্রমে মর্নি মর্কেল ও ভার্নন ফিল্যান্ডার।
এর পরই ডেলের ‘স্টেইন-গান’ চালানো শুরু। পরপর দু’বলে শেষ করে দিলেন ক্লার্ক ও স্টিভন স্মিথকে। চার ওভার পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের শেষ আশা হাডিনও তাঁরই শিকার। ব্যাটসম্যানদের যখন এই বেহাল অবস্থা, তখন মিচেল জনসনও ফিল্যান্ডারের বল পায়ে লাগিয়ে ফিরে গেলেন। স্টেইন ফের উইকেট তুলে নেন হ্যারিসকে ফিরিয়ে। একসময় স্কোরবোর্ডে অজি ব্যাটসম্যানদের রান ফোন নম্বরের মতো লাগছিল। এক দিক থেকে যখন সতীর্থরা ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন একা উইকেট কামড়ে পড়ে ছিলেন ওপেনার ক্রিস রজার্স (১০৭)। অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি করলেও দলকে বাঁচাতে পারলেন না রজার্স। |