অস্ট্রেলিয়া ১ : দক্ষিণ আফ্রিকা ১
আগুনের জবাব আগুনে দিয়ে প্রতিশোধ স্টেইনের
মিচেল মিসাইলের জবাবে স্টেইন গান। গতির জবাবে গতি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম টেস্টে হারের বদলা এ ভাবেই নিল গ্রেম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা। মাইকেল ক্লার্কের দলকে ২৩১ রানে হারিয়ে।
যদিও চতুর্থ দিন লাঞ্চের পর একটা সময় মনে হচ্ছিল, টেস্টটা নাটকীয় সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া তখন ১২৬-০। সেখানে থেকে মোটামুটি পরের ৪২ ওভারের মধ্যে ৯০ রানে শেষ হয়ে গেলেন ক্লার্করা। দিনের শেষ সেশনে পড়ল ন’টা উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তুলল ২১৬। বিরতির পর ধ্বংসলীলা শুরু করেন ডেল স্টেইন। কুড়ি ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট।
ডেল স্টেইন বনাম মিচেল জনসন যুদ্ধের প্রথম পর্বে শেষ হাসি হেসেছিলেন অজি তারকা। এ বার স্টেইনের পালা। স্টেইনের আগুনে বোলিং দেখে মাইকেল ক্লার্কের বক্তব্য, “স্টেইন আজ দুর্দান্ত বল করেছে। অসাধারণ। ও প্রায় একাই আমাদের উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দিল। ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগেই ওরা হারাল আমাদের।”
‘হাডিন, দ্যাখো’

অস্ট্রেলীয় কিপারকে বোল্ড করে স্টেইন। ছবি: এএফপি।
আগের দিন সেঞ্চুরি থেকে সাত রান দূরে শেষ করা আহত হাসিম আমলা এ দিন ১২৭-এ পৌঁছনোর পর গ্রেম স্মিথ যখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭০-এ। অর্থাৎ ৪৪৭-এর লিড। শেষ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই এ দিনই ম্যাচটা শেষ করতে চাইছিলেন স্মিথ। সেই লক্ষ্য এ ভাবে পূরণ হওয়ার পর স্মিথের প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, “ইটস বিন আমেজিং”। তার পর বললেন, “গ্যালারিতে প্রচুর প্রত্যাশা নিয়ে আসা মানুষ সব সময় চিৎকার করছে। তাঁরা ভাবেন স্টেইন বল করতে আসা মানেই পাঁচ উইকেট নেবে। তার উপর কালকের পূর্বাভাস। এত চাপের মধ্যেও যে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বল করল, এটাই দারুণ ব্যাপার। পরের টেস্টগুলোতে আরও ভাল খেলব আমরা, দেখে নেবেন।”
জয়ের জন্য ৪৪৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার রজার্স ও ওয়ার্নার দু’জনে মিলে ১২৬ রান তোলার পরই ধস নামা শুরু। ওয়ার্নারকে (৬৬) এলবিডব্লু করেন ম্যাচের সেরা দুমিনি। ওই সময়ে স্মিথের বোলার পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করতে বাধ্য হলেন ক্লার্কও। ‘লকগেট’ খুলে যাওয়ার পরই একে একে ডুলান ও শন মার্শকে ফেরান যথাক্রমে মর্নি মর্কেল ও ভার্নন ফিল্যান্ডার।
এর পরই ডেলের ‘স্টেইন-গান’ চালানো শুরু। পরপর দু’বলে শেষ করে দিলেন ক্লার্ক ও স্টিভন স্মিথকে। চার ওভার পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের শেষ আশা হাডিনও তাঁরই শিকার। ব্যাটসম্যানদের যখন এই বেহাল অবস্থা, তখন মিচেল জনসনও ফিল্যান্ডারের বল পায়ে লাগিয়ে ফিরে গেলেন। স্টেইন ফের উইকেট তুলে নেন হ্যারিসকে ফিরিয়ে। একসময় স্কোরবোর্ডে অজি ব্যাটসম্যানদের রান ফোন নম্বরের মতো লাগছিল। এক দিক থেকে যখন সতীর্থরা ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন একা উইকেট কামড়ে পড়ে ছিলেন ওপেনার ক্রিস রজার্স (১০৭)। অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি করলেও দলকে বাঁচাতে পারলেন না রজার্স।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.