থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আগুনে ভস্মীভূত খড়ের গাদায় এক যুবকের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল লিলুয়ায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে লিলুয়া থানার কাছেই একটি খড়ের গাদায় আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাতর্ভ্রমণকারীরা থানায় খবর দেন। পুলিশ খবর দেয় দমকলে। দমকল আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। আগুন খানিকটা নিভে যাওয়ার পরে হঠাৎই খড়ের গাদায় এক ব্যক্তির পোড়া হাত চোখে পড়ে বাসিন্দাদের। ফের খবর যায় থানায়। ততক্ষণে দমকল এসে গিয়েছে। আগুন নেভার পরে অর্ধদগ্ধ দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়না-তদন্তে।
হাওড়া পুলিশের কয়েক জন অফিসারের বক্তব্য, ওই এলাকায় শনিবার রাতেও কেউ খড় দেখেননি। ওই জায়গায় খড় রাখার রীতিও নেই। সে কারণেই ওই অফিসারদের ধারণা, ওই যুবককে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্যই খড় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল কেউ। যদিও কোনও কোনও অফিসারের মত, রাতে কেউ খড় ফেলে গিয়েছিল। তার মধ্যে কোনও ভবঘুরে শুয়ে পড়েন। আচমকা আগুন লেগে এই ঘটনা। এমন মনে হওয়ার পিছনে ওই অফিসারদের যুক্তি, উদ্ধার হওয়ার যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হাওড়া কমিশনারেট সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যু কী ভাবে হল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাবে।” |