|
|
|
|
উত্তর-পূর্বের চার রাজ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২৩ ফেব্রুয়ারি |
অসমের পাশাপাশি অরুণাচল, ত্রিপুরা, মণিপুরেও লোকসভা ভোটে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই জানালেন দলের পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি অসমে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সফরের আগে অসমে দলের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন সঞ্জয়বাবু। শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির সমাবেশের পর, অণ্ণা হাজারেকে সঙ্গে নিয়ে অসমে আরও কয়েকটি জনসভা করবেন ‘দিদি’। সফর করবেন উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিতেও।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে অসমে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্য-সমর্থকদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। বরাক উপত্যকায় মিছিল করেছেন দলত্যাগী কর্মীরা। মমতার সফরের দিনও তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, রাজ্যে যখন দলকে প্রয়োজন ছিল, তখন বারবার ডেকেও দিদি বা তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা মেলেনি। দিল্লিতে ক্ষমতার দৌড়ে নামতে এখন দলের নেতারা অসমকে ব্যবহার করতে চাইছেন।
সঞ্জয়বাবু বলেন, “দিদি নিজে সব অভিযোগের জবাব দেবেন। এত দিন বিভিন্ন সমস্যায় তিনি অসমে আসতে পারেননি। এ বার দিদি অসম তথা উত্তর-পূর্ব নিয়ে বিশেষ আগ্রহী । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করা হবে।” অসমের কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী আঁতাত নিয়েও আশাবাদী তৃণমূল। সঞ্জয়বাবু জানান, কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়া অন্য দলের জন্য আলোচনার দরজা খোলা। অনেকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। দিদি আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তেলঙ্গানা গঠনের জেরে, অসমেও বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করেছেন। এ নিয়ে তৃণমূল পর্যবেক্ষকের বক্তব্য, “দিদি তেলঙ্গানা গঠনের বিরোধিতা করেছেন। উন্নয়ন না-হওয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষের উন্নয়ন হলে, বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি কমবে। দার্জিলিং-এ তেমনই হয়েছে।”
দল গঠনের পর থেকে ১৩ বছরে অসমে তৃণমূলের সংগঠন কার্যত ধুঁকছে। রাজ্যে দলের এক জন মাত্র বিধায়ক রয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে ১০১টি আসনে প্রার্থী দিলেও শোচনীয় ফল হয়েছিল তৃণমূলের। তার প্রেক্ষিতে লোকসভায় ভাল ফলাফল হওয়া কি সম্ভব? সঞ্জয়বাবুর বক্তব্য, “মমতার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সঙ্গে এ বার দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ের নেতা অণ্ণা হাজারের জোট হয়েছে। দুর্নীতিতে জেরবার অসম তথা উত্তর-পূর্বের কাছে তার চেয়ে ভাল বিকল্প কী হতে পারে?”
অন্যদিকে, রাহুল গাঁধীর অসম সফর বয়কটের ডাক দিয়েছে ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি’ ও ‘আদিবাসী ন্যাশনাল কনভেনশন কমিটি’। রাহুল ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অসমে আসছেন। তার আগে, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে অসম বন্ধের ডাক দিয়েছে ২৬টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। তফসিল উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব ওই মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাহুল এলে তাঁর সামনেই বিক্ষোভ দেখানো হবে। একই হুমকি দিয়েছে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতিও। ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়ার দাবিতে তাঁরা রাহুলের সভায় বিক্ষোভ দেখাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমল মেধি জানান, রাহুলের সভা ভণ্ডুল করতে কৃষকরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। |
|
|
|
|
|