বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে যোগ না দিয়ে আদালতে কাজ করার দায়ে শো-কজ করা হয়েছে ১০ আইনজীবীকে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের এক আইনজীবির বাড়িতে পুলিশি হামলার অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্ধমানের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেয় বর্ধমান বার অ্যাসেসিয়েশন। দু’দিন আদালত বন্ধও থাকে। পরে ১৭ তারিখ বারের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে কয়েকজন সদস্য দাবি তোলেন, বারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যে আইনজীবীরা কাজ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরেই বারের সম্পাদক মদেশ্বর হোসেন ওই ১০ জনকে বারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাজ করার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দেন। ওই ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন খোদ পাবলিক প্রসিকিউটর সুব্রত হাটি, এপিপি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী কমল তা, জ্যোতিপতি কোনার প্রমুখ। বার সূত্রের খবর এঁদের ১০দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পিপি সুব্রত হাটি বলেন, “পিপি হিসেবে আমায় প্রতিদিনই কাজ করতে হয়। তা সত্বেও আমাকে শো-কজ করা হয়েছে। আমি শো-কজের উত্তর দেব। তারপরে আমাকে বহিষ্কার করা হলে তা দুঃখজনক।” সরকারি আইনজীবী পীযূষরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যায় না। তা ছাড়া সরকারের পক্ষে সরকারি আইনজীবীরা দাঁড়াবেন কী না, তা ঠিক করার এক্তিয়ার বারের নেই। আমি শো-কজের উত্তরে এটাই লিখব। |