এনটিপিসি-র ট্রলি লাইনের (নিজস্ব রেলপথ) উপর থেকে শ্রমিক অবরোধ দ্রুত সরিয়ে দিতে শুক্রবার ঝাড়খণ্ড পুলিশকে নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি ডি এন উপাধ্যায় গোড্ডা ও সাহেবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বারহেটের কাছে এনটিপিসি’র নিজস্ব ‘মেরি গো রাউন্ড’ ট্রলি লাইন থেকে শ্রমিকদের অবরোধ তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে।
এনটিপিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে কয়লা আসে নিজস্ব রেলপথে। ওই রেলপথ দেখভালে যুক্ত ঠিকাশ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঝাড়খণ্ডের বারহেটের কাছে রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন। ফলে কয়লা আসছে না। ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, অবরোধ সরাতে শুক্রবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন তাঁরা। শুক্রবারই বিচারপতি ডি এন উপাধ্যায় অবরোধ সরানোর জন্য গোড্ডা ও সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপার ওয়াধ বিহারী রামের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। গোড্ডার পুলিশ সুপার অজয় লিণ্ডা বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশের কপি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আমার হাতে আসেনি। তবু সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমি কথা বলছি যাতে লিখিত আদেশ পাওয়া মাত্রই অবরোধ তোলার ব্যবস্থা নেন।”
শ্রমিকদের এই অবরোধ আন্দোলনের পিছনে সমর্থন রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বারহেটের বিধায়ক হেমলাল মুর্মুর। হাইকোর্টের নির্দেশ শুনে তিনি বলেন, ‘“শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক ছিল না। এনটিপিসি-র উচিত ছিল মজুরি বৃদ্ধির দাবিটি অন্তত মেনে নেওয়া। তবে হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিয়েছেন তখন প্রশাসন সেই মতো ব্যবস্থা নেবে। এতে বলার কিছু নেই। কিন্তু এফআইআর কেন? শ্রমিকরা তো চুরিও করেননি, কাউকে মারধরও করেননি।” |