ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার এল এক নতুন অতিথি। সাদা এই গোখরো সাপটিকে বৃহস্পতিবার সেবায়তনের পলিটেকনিক কলেজ প্রাঙ্গণের একটি নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। সাপটি জখম হয়েছিল। আহত সাপটির চিকিৎসা করেন প্রাণী চিকিৎসকেরা। তারপর তাকে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়। সাপটিকে চিড়িয়াখানায় ‘স্নেক এনক্লোজার’-এ রাখা হয়েছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও আশিসকুমার সামন্ত বলেন, “সাপটি প্রায় পাঁচ ফুট দীর্ঘ। সাদা গোখরো সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই সাপ বিরল প্রজাতির নয়। শারীর বৃত্তীয় কারণেই কিছু গোখরো সাদা রঙের হয়।”
|
গুয়াহাটিতে ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বুধবার পাহাড় থেকে একটি চিতাবাঘ কাহিলীপাড়া এলাকার লোকবন্ধু নগরে নেমে আসে। চিতবাঘ বের হওয়ার খবর পেয়ে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বনবিভাগ চিতাবাঘ ধরতে একটি ফাঁদ পেতে রাখে। আজ সকালে চিতাবাঘটি ধরা সেই ফাঁদে ধরা পড়ে। তাকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসক এম এল স্মিথ জানান, চিতাবাঘটি স্ত্রী ও পূর্ণবয়স্কা। সে সুস্থই রয়েছে।
|
চিতাবাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে কোচবিহার ২ ব্লকের মধুপুর পঞ্চায়েতের শালমারায়। বৃহস্পতিবার রাতে মীরা সরকার নামে এক মহিলার উপর হামাল করে চিতাবাঘটি। জখম মীরাদেবীর চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে এলে রক্তাক্ত মহিলাকে ফেলে চিতাবাঘটি অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। কোচবিহার জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। শুক্রবার এলাকার আরও দুটি গরুকেও এলাকার লোকেরা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন। তার জেরেই আতঙ্ক বেড়েছে। এদিন সন্ধ্যা থেকেই দরজা জানালা বন্ধ করে বাসিন্দাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। রাতে জরুরি কাজে এলাকার বাসিন্দারা দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে বার হন। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের নিজের জেলা কোচবিহারের গ্রামে চিতাবাঘের আতঙ্ক বেড়ে গেলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন দফতর এলাকায় খাঁচা না বসানোয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বনমন্ত্রী বলেন, “রসমতি বা লাগোয়া জঙ্গল পেরিয়ে চিতাবাঘটি এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। বন কর্মীরা নজর রাখছেন। দ্রুত খাঁচা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তোর্সা নদী লাগোয়া শালমারা এলাকা থেকে রসমতি বনাঞ্চল ১২ কিমি দূরে। সেখানে নদী পার হয়ে চিলাপাতা ও জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যে চিতাবাঘ ঢোকে। কোচবিহারের ডিএফও কৌশিক সরকার বলেন, “পায়ের ছাপ ততটা স্পষ্ট নয়। আজ, শনিবার খাঁচা বসানো হবে।”
|