|
|
|
|
নির্মল ভারত অভিযানে গতি আনতে উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
‘নির্মল ভারত অভিযান’ কর্মসূচিতে গতি আনতে এ বার সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান কর্মসূচির সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মেলবন্ধনে কাজ শুরু হতে চলেছে হুগলি জেলায়। কর্মসূচির লক্ষ্য, প্রতিটি গ্রামে নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। যাতে গ্রামবাসীরা ডায়েরিয়া, কলেরা, পোলিও, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পান। পাশাপাশি, তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, জীবিকার উৎসগুলি শক্তিশালী করা এবং সর্বোপরি গ্রামের সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো। আজ, শনিবার ওই কাজের সূচনা হতে চলেছে।
জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নির্মল ভারত অভিযান’ কর্মসূচিটি সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানের মাধ্যমে সূচনা হয় ২০০৪ সাল নাগাদ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘নির্মল গ্রাম’ পুরস্কার দেওয়াও চালু হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শৌচাগারের যথাযথ ব্যবহারের বদলে সেখানে ঘুঁটে বা জ্বালানি রাখা হচ্ছে। প্রকল্পের গতি যথাযথ এবং ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্র সরকার ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান কর্মসূচির সঙ্গে মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের (১০০ দিন কাজ) সমন্বয়ের আদেশনামা জারি করে। সেই কর্মসূচিই অবশেষে শুরু হচ্ছে হুগলিতে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুমন ঘোষ বলেন, “আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানের কাজ চলছিলই। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা যায়, জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতের ২ লক্ষ ৪১ হাজার পরিবারের শৌচাগার নির্মাণে অনীহা রয়েছে। এখন এই সমন্বয়ের ফলে প্রকল্পটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্মসূচি রূপায়ণে দরিদ্র পরিবারগুলির আর্থিক সমস্যারও সুরাহা হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপভোক্তাকে অবশ্য ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সামিল হতে হবে। শৌচাগারপিছু দু’টি প্রকল্প থেকে তাঁকে দেওয়া হবে সব মিলিয়ে মজুরি-সহ ১০ হাজার টাকা। উপভোক্তাকে দিতে হবে মাত্র ৯০০ টাকা। সেই টাকাও তিনি ইমারতি সামগ্রী কেনার জন্য ব্যয় করতে পারেন। |
|
|
|
|
|