তেলঙ্গানায় কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাঁত, আক্রমণ মমতার
ভোটের মুখে তেলঙ্গানা বিল পাশ করাতে কংগ্রেস-বিজেপি ‘অশুভ আঁতাঁত’ গড়েছিল বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যসভায় গত কাল তেলঙ্গানা বিল পাশের সময়ে আগাগোড়া গলা ফাটিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা। বিলের কপিও ছিঁড়েছিলেন তাঁরা। শুক্রবার ফেসবুকে দলনেত্রী নিজেই কেন্দ্রের শাসক-বিরোধী দুই শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “রাজ্য সম্পর্কিত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনে রাজ্যগুলিরই মত নেওয়া হল না। দু’টো প্রধান রাজনৈতিক দল যদি এ ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে তাতে প্রভাব খাটায়, তা হলে দেশের কী হবে?”
মমতার সরাসরি অভিযোগ, ভোট দোরগোড়ায় দেখেই এমন ‘একতরফা’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁর কথায়, “নিজের নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে কংগ্রেস-বিজেপি যে ভাবে হাত মিলিয়েছে, তা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এই ধরনের অশুভ আঁতাঁত দেশের জন্য খুব খারাপ সঙ্কেত।”
লোকসভায় যে ভাবে তেলঙ্গানা বিল পাশ হয়েছিল, মমতার মতে তা ‘অসাংবিধানিক’, ‘অগণতান্ত্রিক’, ‘অনৈতিক’ এবং ‘অবৈধ’। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা ভোটাভুটি এবং সংশোধনী আনতে চাইলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হয়েছিল বন্ধ দরজার আড়ালে। এবং সে দিন যে ভাবে লোকসভার সরাসরি সম্প্রচার ‘ব্ল্যাক আউট’ করে দেওয়া হয়েছিল, তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
ফেসবুক বার্তায় আগাগোড়াই বিলটিকে ‘তথাকথিত ভাবে পাশ হওয়া’ বিল বলে মন্তব্য করেছেন মমতা। লিখেছেন, “তথাকথিত ভাবে পাশ হওয়া বিলটি (লোকসভার পরে) রাজ্যসভায় এল এবং সেখানেও ‘তথাকথিত ভাবে’ পাশ হল। আমাদের দল প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, লোকসভায় অবৈধ ভাবে পাশ হওয়া এমন একটি বিল রাজ্যসভায় পেশ হল কী করে?”
সংসদের দুই কক্ষে বিল পাশের পর তেলঙ্গানার জন্মের জন্য এখন শুধু দরকার রাষ্ট্রপতির সই। তার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব আজই শুরু করে দিয়েছে কর্মিবর্গ দফতর। তা হল অবিভক্ত অন্ধ্রে কর্মরত কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস অফিসার ও অন্ধ্র সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে কাদের তেলঙ্গানায় এবং কাদের সীমান্ধ্রে পোস্টিং দেওয়া হবে, তা ঠিক করা।
এ ব্যাপারে দু’টি পৃথক কমিটি গড়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডির ইস্তফার পর অবিভক্ত অন্ধ্র সম্ভবত রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই হাঁটছে। একটি সূত্রের দাবি, অন্ধ্রের রাজ্যপাল কেন্দ্রকে দেওয়া রিপোর্টে বলেছেন, এই মুহূর্তে অন্ধ্রে কোনও দলের সরকার গড়া সম্ভব নয়।
তবে তেলঙ্গানাপন্থী নেতাদের কেউ কেউ সীমান্ধ্রের মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন যে, রাজ্যভাগের পর হায়দরাবাদে তাঁরা আরও বেশি করে স্বাগত।
সংসদে মরিচ-কাণ্ডের প্রধান কুশীলব, সদ্য পদত্যাগী সাংসদ এল রাজাগোপালও শান্তি বজায় রাখার ডাক দিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.