পুরনো পথবাতির বিদ্যুৎ খরচ সামলানো যাচ্ছে না। তাই ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বেছে নিয়েছেন আধুনিকীকরণের পথ।
বিদ্যুৎ বিলের খরচ কমাতে পুরনো ‘টিউব লাইট’ খুলে আধুনিক আলো লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে ময়নাগুড়িতে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোর জন্য ট্রাফিক এলাকায় বসানো হচ্ছে বাতিস্তম্ভও। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসিন্দাদের মধ্যে উন্নত পরিষেবার চাহিদা বাড়লেও দীর্ঘ দিন থেকে এলাকার পথবাতির সংস্কার হয়নি। পুরনো আলোর সিংহভাগই অকেজো। একে সেগুলি মেরামত করা সেই সঙ্গে নতুন আলোও লাগাতে হচ্ছে, সে কারণে বিদ্যুতের বিলের সঙ্গে জুড়েছে রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। সব মিলিয়ে ব্যয় এতটাই বেড়েছে যে পরিষেবা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্চায়েত প্রধান কমল দাস বলেন, “পরিষেবা বন্ধ করা সম্ভব নয়। অথচ খরচ সামাল দিতে পারছি না। তাই বিদ্যুতের খরচ কম হবে অথচ আলোর ঘাটতি হবে না এমন ধরনের আধুনিক বাতি লাগানোর পরিকল্পনা হয়েছে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি এলাকায় প্রায় হাজার পথবাতি রয়েছে। এ জন্য বছরে ৭ লক্ষ টাকা বিল গুনতে হচ্ছে। শহর এলাকায় অন্তত পাঁচশো পথবাতির ব্যবস্থা করা জরুরি, কিন্তু যে আলো রয়েছে সেটার খরচ মেটাতেই কর্তৃপক্ষ বিপাকে। বাসিন্দাদের থেকে পথবাতির কর বাবদ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আয় বলে বলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, “পুরনো যে পথবাতি রয়েছে, সেটাতে শুধু যে বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে তাই নয়, অপচয়ও বাড়ছে। এটা বন্ধ করা জরুরি। ইতিমধ্যে পথবাতি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এতে পরিষেবার মানও বাড়বে।”
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পথবাতির আধুনিকীকরণের জন্য ৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে। পশ্চাৎপদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল-সহ নানা তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়েছে। ট্রাফিক মোড় থেকে দুর্গাবাড়ি পর্যন্ত স্তম্ভ থেকে পুরনো আলো খুলে ফেলা হয়েছে।পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ বলেন, “ময়নাগুড়ি ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ শুরু হয়েছে। শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে প্রথমে ট্রাফিক মোড় থেকে দুর্গাবাড়ি পর্যন্ত ডিভাইডারে যে আলো লাগানো আছে সেগুলি বদলে আধুনিক আলো লাগানো হচ্ছে।” পরবর্তীতে একই ভাবে মালবাজার রোড, তিস্তা ব্যারাজ অফিস পর্যন্ত জলপাইগুড়ি রোড, স্টেশন রোড, শ্মশানঘাট পর্যন্ত জল্পেশ রোডে পথবাতির আধুনিকীকরণ হবে। ময়নাগুড়ি-শিলিগুড়ি রোড, ময়নাগুড়ি-মেখলিগঞ্জ রোড এবং ময়নাগুড়ি-মালবাজার রোডের বাতি স্তম্ভ পাল্টে নতুন পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে। দ্বিতীয় দফায় ওই কাজ করা হবে। |