ফুটবল বিশ্ব তাঁকে চেনে ‘ব্যাড বয়’ হিসেবে। যিনি দিন কয়েক আগেই দেশজ মিডিয়াকে হুমকি দিয়েছেন যে, বিশ্বকাপে তাঁর থেকে ভাল ফুটবল দেখতে হলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করতে হবে। তিনি— মারিও বালোতেলি। আর তাঁকেই কি না চ্যালেঞ্জ করে বসলেন কার্লো আন্সেলোত্তি!
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ বলেছেন, “রোনাল্ডোর পেশাদারিত্ব অনুসরণ করতে না পারলে নিজের প্রতিভা নষ্ট করবে বালোতেলি।” এমনটাই জানাচ্ছে ইতালির মিডিয়া। এসি মিলানের তারকা স্ট্রাইকার অবশ্য ‘কারলেট্টোর’ পরামর্শ নিয়ে এখনও পাল্টা কিছু বলেননি। বরং বুধবার আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে তাঁর ক্লাব এসি মিলানের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ নিয়েই ডুবে রয়েছেন।
লা লিগায় শীর্ষে থাকা আটলেটিকোর প্রধান অস্ত্র দিয়োগো কোস্তার আগুনে ফর্ম। স্প্যানিশ ক্লাবের ম্যানেজার দিয়েগো সিমেওনেও বালোতেলির প্রশংসা করে বলেছেন, একাই ইতালীয় স্ট্রাইকার ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। বালোতেলি নিজে যদিও বুধবারের ম্যাচকে তাঁর আর কোস্তার লড়াই মানতে নারাজ। তিনি বলে দেন, “ম্যাচটা মিলান আর আটলেটিকোর মধ্যে। কোস্তাও খুব ভাল প্লেয়ার। সিমেওনে বিরাট ফুটবলার ছিল। এখন গ্রেট কোচ। ওঁর মতো কোচের প্রশংসা আমার জন্য খুব সম্মানের।” তা হলে কি আটলেটিকো তাঁকে টিমে চাইছে? এ নিয়ে যদিও কিছু বলতে চাননি বালোতেলি। |
সাংবাদিক সম্মেলনে সুপার মারিও। মঙ্গলবার। ছবি: এএফপি।
|
এ দিকে, জল্পনা চলছে প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তারকা না কি ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ কোচ হয়ে আসা সত্ত্বেও মিলানে সন্তুষ্ট নন। আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনালও তাঁর জন্য ঝাঁপাতে পারে। বালোতেলি যদিও বলে দেন, “সিডর্ফ গ্রেট চ্যাম্পিয়ন। গ্রেট প্লেয়ার ছিল। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাকই থাকবে।”
পাশাপাশি তাঁর সমালোচকদের একহাতও নিয়ে রাখেন সুপার মারিও। তেইশ বছরের ইতালীয় স্ট্রাইকার বলে দেন, “আমি নিজেই নিজের যথেষ্ট সমালোচনা করি। তাই অন্যদের কাছ থেকেও একই কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগে।” ২০১২ ইউরোর সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে তাঁর জোড়া গোল ইতালিকে ফাইনালে তুলেছিল। যে ম্যাচে তাদের হারিয়ে দেয় স্পেন। এ বারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুদ্ধটা কিন্তু সেই স্পেন বনাম ইতালি এক দিক থেকে। সেই প্রসঙ্গে বালোতেলি বলছেন, “ওদের জাতীয় দলকে হারানো একটু কঠিন। কিন্তু একটা স্প্যানিশ ক্লাবকে হারিয়ে বদলা নেওয়ার শুরু করতেই পারি আমরা।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “একটা কথা বলতে পারি। বুধবার নিজের একশো শতাংশ দেব আমি মাঠে।” |