রেল ইয়ার্ডের কর্মী গুলিবিদ্ধ খড়্গপুরে, শুরু চাপানউতোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন নিমপুরা রেল ইয়ার্ডের পণ্য খালাসে নিযুক্ত এক কর্মী। সোমবার রাতে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে বৈদ্যনাথ হেমব্রম ভর্তি হন। তাঁর বাড়ি খড়্গপুরের আরামবাটিতে। রাতেই অস্ত্রোপচার করে তাঁর বাঁ পা থেকে গুলিটি বের করা হয়। বৈদ্যনাথ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র সমর্থক। হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল বলেন, “পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোমবার রাতে বৈদ্যনাথ ভর্তি হয়। বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়েছে।” যদিও গুলি লাগার কারণ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি। |
|
খড়্গপুর হাসপাতালে আহত বৈদ্যনাথ হেমব্রম। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
দীর্ঘদিন ধরেই বৈদ্যনাথ নিমপুরা রেল ইয়ার্ডে কাজ করছেন। প্রথমে তিনি সিটু সমর্থক ছিলেন। পরে আইটাক-এর সমর্থক হন। কয়েকদিন আগে ওই যুবক আইএনটিটিইউসি-তে যোগ দেন। সম্প্রতি নিমপুরা রেল ইয়ার্ডে শ্রমিক সংগঠনের দখল নিয়ে শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী ও প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পালের গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ বাধে। বৈদ্যনাথ জহরলাল অনুগামী হিসেবেই পরিচিত।
পায়ে গুলি লাগল কী করে? বৈদ্যনাথের দাবি, “মদ্যপ অবস্থায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে চোট লাগে। আমার গুলি লাগেনি। এর বেশি আমি কিছু জানি না।” তৃণমূল জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলালবাবুর আবার বক্তব্য, “সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ওর পায়ে লোহা ঢুকে গিয়েছিল। ওর গুলি লাগেনি।”
শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “আমার সঙ্গে ওই যুবকের পরিচয় নেই। ওই যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কীভাবে ওঁর গুলি লেগেছে তা জানতে তাঁর পরিবারের পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত। পুলিশকেও এবিষয়ে তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।”
তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে দাবি খড়্গপুর টাউন পুলিশের। পুলিশের অনুমান, অসাবধানতাবশত ওই যুবকের কাছে থাকা পিস্তল থেকে কোনওভাবে তাঁর পায়ে গুলি লেগে থাকতে পারে। |
|