দক্ষিণ দিনাজপুর
অধিকার-এ অনিয়মের নালিশ, গোষ্ঠীকোন্দল
তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুরের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ‘অধিকার’ প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পাঁচটি এলাকায় দুঃস্থদের বদলে ক্ষমতাসীন দলের পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সদস্য, পাকা দালান বাড়ি রয়েছে এমন একাংশ নেতার আত্মীয় স্বজনের নামেও অধিকার প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দলের একটি অংশের তরফে নালিশ পৌঁছেছে কলকাতার তৃণমূল ভবনেও। ওই পাঁচটি বিধানসভা হল বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ, হরিরামপুর ও তপন। এ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক তাপস চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রকল্পের টাকা নিয়ে যাঁরা বাড়ি করেননি তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। নইলে তাঁদের নামে বিডিওদের থানায় এফআইআর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সম্প্রতি কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে জেলার কুমারগঞ্জ, তপন ও গঙ্গারামপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সভাপতি এবং ব্লক তৃণমূল সভাপতিরা অধিকার প্রকল্প নিয়ে দলের একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হন। বিষয়টি নিয়ে ওই সভায় বালুরঘাটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বনাম দলের সভাপতি তথা বিধায়ক বিপ্লব মিত্রের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তার জেরে মুকুলবাবুর সামনেই দু’পক্ষে তুমুল গোলমাল হয়। কুমারগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক মাহমুদা বেগম এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওই সভায় অধিকার প্রকল্পে ঘরের টাকা বিলি নিয়ে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। মুকুলদাকে আমি যা বলার বলেছি।” আর গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, “বিপিএল কার্ড নেই, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাকে প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তা তালিকা পঞ্চায়েত স্তর থেকে এসেছিল। আমরা সবই অনুমোদন করে দিয়েছিলাম। অনিয়ম হওয়ার কথা নয়।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, “দুঃস্থ মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে তিনি রেহাই পাবেন না। এটাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ।”
গত জুলাই মাসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অধিকার প্রকল্প চালু হয়। গরিব, স্বল্প আয়ের গৃহহীন বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য ৪৫০০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়াই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রথম দফায় বিধায়কদের কাছ থেকে ২২৫০ উপভোক্তার তালিকা পেয়ে বিভাগীয় দফতর থেকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ২২৫০০ টাকা বিলি করা হয়। ছ’মাস পরেও সংশ্লিষ্ট ব্লক থেকে প্রথম কিস্তির টাকার ঠিক তথ্য বা ইউসি আসেনি বলে অভিযোগ। এমনকী, কোথাও বাড়ির কাজই হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা সংগ্রহ করে আরএসপি। এর পরে তাদেরই যুব সংগঠন আরওয়াইএফ ওই পাঁচটি বিধানসভা এলাকার ৭ ব্লকে অধিকার প্রকল্পে স্বজনপোষণ করার অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছে। আরওয়াইএফ জেলা সহ-সম্পাদক জিল্লুর রহমানের অভিযোগ, “কিছু তৃণমূল নেতা ৫০০-১০০০ টাকা উপভোক্তাদের দিয়ে তাঁদের থেকে পাশবই নিয়ে প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন। উপভোক্তারা জানতেই পারেননি, তাঁদের জন্য বাড়ি তৈরি প্রকল্পে ৪৫০০০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করেছি, সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.