ভেষজ উদ্যান সরানোর সিদ্ধান্তে বিতর্ক বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছর পনেরো আগে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য ভেষজ উদ্যান তৈরি করেছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। তখন অর্থের সঙ্গে শ্রমও দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশের নানা জায়গা থেকে আনা হয়েছিল সেই সব দামি গাছ। এ বার সেই ভেষজ উদ্যান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গ্রন্থাগার সম্প্রসারণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেধেছে। আর বিতর্ক দেখা দিতে প্রকাশ্যে এল সত্যিটা! দেখা গেল, অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল সেই ভেষজ উদ্যান। যেখানে উদ্যানটি রয়েছে, সেখানে গ্রন্থাগার সম্প্রসারণ হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ‘মাস্টার প্ল্যান’-এ তারই উল্লেখ রয়েছে। তা হলে উদ্যান তৈরির সময় কেন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছিলেন। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগই বা কেন সব জেনে ওখানেই পণ্ডশ্রম দিলেন! এর সদুত্তর মেলেনি। এখন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ দাবি করছে, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন অন্যত্র জমি দেওয়া হোক। উদ্যান সরানোর সময়ও দেওয়া হোক। বিভাগের শিক্ষকরা জানালেন, নানা জায়গা থেকে ওই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ গাছ এনে লাগানো হয়েছিল। একবার নষ্ট হলে, ফের তা তৈরি করা কঠিন হবে। অসুবিধে হবে ছাত্রছাত্রীদেরও। কারণ, সব সময় দূর-দূরান্তে নিয়ে গিয়ে হাতে-কলমে বোঝানো কঠিন। ফলে উদ্যান উচ্ছেদে তাঁদের ক্ষতি হবে।”

উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এই উদ্যান সরানো নিয়েই বিতর্ক।—নিজস্ব চিত্র।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কী ভাবছেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তপ্রকাশ নন্দীর কথায়, “এ বিষয়ে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগকে বলা হয়েছে, তাঁরা কী চাইছেন তা বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে যেন আমাদের জানান। তারপর আমরা পদক্ষেপ করব।”
বছর পনেরো আগে এই উদ্যানটি তৈরি হয়। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৪১ রকমের ভেষজ গাছ রয়েছে। উদ্যান তৈরির সময় তৎকালীন উপাচার্য জানিয়েছিলেন, জমিটি গ্রন্থাগারের জন্যই বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এখনই তার সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে টাকা এলে উদ্যান সরাতে হবে। তারপর গ্রন্থাগার সম্প্রসারণ করা হবে। সম্প্রতি ওই অর্থ এসেছে। কিছু দিনের মধ্যেই ফের ন্যাকের প্রতিনিধি দল আসার কথা। তার আগেই সম্প্রসারণের কাজ শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে উদ্যান সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনাও করেননি কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় শিক্ষকেরা গ্রন্থাগার সম্প্রসারণের বিষয়টি জানার পর কর্তৃপক্ষকে জানানোয় টনক নড়ে। তবে এখনও কেউই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উদ্যানটি কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.