পাঁচালি, ঋত্বিক, গোয়ার নিশিরাত
মেঘ, তারা আর চাঁদের পাহাড়
‘মেঘে ঢাকা তারা’র স্ক্রিনিংয়ে এসেছিলেন ছবির পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। অনন্যা এর আগেও ইফিতে এসেছিলেন, ‘আবহমান’য়ের স্ক্রিনিংয়ের সময়। বললেন, “তবে এ বার বেশি দিন নেই...সুভাষ ঘাই আমাদের ছবিটা দেখে প্রশংসা করলেন।” আর কমলেশ্বর? “রবিবার সন্ধেয় আমি মুম্বই চলে যাচ্ছি। তার পর রাতের ফ্লাইটে জোহানেসবার্গ। বিদেশি অভিনেতাদের দিয়ে ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের ডাবিংটা শেষ করাতে হবে তো,” বলেই ছুট লাগালেন পরিচালক।

নীতু চন্দ্রার সঙ্গে তাঁর গ্রিক ছবি ‘ব্লক ১২’ ছবির পরিচালক কিরিয়াকস টোফারিডস।
পার্টি আভি বাকি হ্যায়
এনএফডিসি-র পার্টি। সিডাডে ডি গোয়াতে। ফিল্ম বাজার শেষ হয়ে যাচ্ছিল সে দিন। সেখানে দেখা রাইমা, পরম, আবির, অনন্যা, পাওলির সঙ্গে। এনএফডিসি-র বিক্রমজিৎ রায় বললেন, “উই ওয়ার্ক হার্ড অ্যান্ড পার্টি হার্ডার।” হিন্দি গান। আর সঙ্গে সঙ্গে সবার কী নাচ! অভিনেতা সঞ্জয় সুরি আর ‘চৌরঙ্গা’ ছবির পরিচালক বিকাশরঞ্জন মিশ্রও ওখানে উপস্থিত। হঠাৎ চোখ পড়ল লন বা পার্টির ডান্স ফ্লোরে। সেখানে রাইমা, পরম আর আবির। আর একটা বিরল দৃশ্য ছিল অনন্যা আর পাওলির ‘জিগ।’ পার্টি অবশ্য বেশি ক্ষণ চলেনি। লবিতে এসে দেখা অর্পিতা, সুজয় ঘোষের সঙ্গে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘সত্যান্বেষী’র জন্য দু’ জনেই উপস্থিত। রাতে কন্ডোলিম বিচে আবার জমায়েত সবার। তবে এখানে আবার মেয়েদের আর ছেলেদের দল আলাদা হয়ে গেল। গোয়ান মাছ আর পর্ক দিয়ে ডিনার সারলেন রাইমা, অর্পিতা আর পাওলি। পরম, আবির, সুজয়, শ্রীকান্ত মোহতা আর রবি শর্মা গেলেন বিচে।

পাঁচালি দেখা
সোমবার সকালে রাইমা গিয়েছিলেন ওয়েন্ডেল রডরিকসের স্টোরে। “ওয়েন্ডেলের পোশাক আমার খুব পছন্দের। তাই তিনটে কিনে ফেললাম। এই অফ হোয়াইট ড্রেসটাও ওয়েন্ডেলের কাছ থেকেই কেনা,” বললেন রাইমা। “আমি কোনও সিনেমা দেখে বলি না এই রোলটা আমার করতে ইচ্ছে করছে। আমি আজ প্রথম পার্নোর রোলটা দেখে এটা বলেছি। আর ও কি না আমাকে বলল, ‘ব্লিঙ্ক অ্যান্ড ইউ মিস রোল!’ আমি এখনই ওকে মেসেজ করব।” পাশ দিয়ে হেঁটে চলে গেলেন সীমা বিশ্বাস। স্ক্রিনিংয়ের পরে সুইডেনে কৌশিকের কাছে প্রচুর ফোন। কথা বলতে বলতে কৌশিক ফোনে বললেন, “সুজয় খুবই প্রশংসা করল। বলল,এই রকম একটা সিনেমায় কেন ওকে একটা রোল আমি দিইনি! সীমা বিশ্বাসেরও ভাল লেগেছে শুনলাম।” স্ক্রিনিংয়ের পরে পরমব্রতর সঙ্গে দেখা মনোজ বাজপেয়ীর। “সিনেমা দেখা আর ফ্যামিলির সঙ্গে ছুটি কাটানো দুটোই করছি গোয়াতে,” বললেন মনোজ।


পার্টিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও মনোজ বাজপেয়ী।
নবীন ও প্রবীণ
আগের বছর ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী এসেছিলেন গোয়াতে। ফিল্ম বাজার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। “আমার ছবির শিল্পীরা সবাই শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত তাই আমি একাই ‘ফড়িং’কে রিপ্রেজেন্ট করলাম এখানে,” বললেন ইন্দ্রনীল।
তার পর সিনেমার একটা প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে গেলেন। বলিউড অভিনেত্রী নীতু চন্দ্রা গ্রিক সিনেমা করেছেন। বললেন, “এটা একটা কমেডি। আমি প্রেমের দেবতার চরিত্র করছি।” পরিচালক কিরিয়াকোস টোফারিডস বললেন, “নীতু এত ভাল কাজ করেছেন যে পরের ছবিতেও ওকে নেওয়ার কথা ভাবছি।” অঞ্জন দাসের ‘অজানা বাতাস’ দেখানো হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্যানোরামাতে।
“অনেক বারই আমার ছবি ইফিতে দেখানো হয়েছে। ‘অজানা বাতাস’য়ের জন্য কৌশিক সেন আর পাওলি ছিল। বেশ কিছু বিদেশি অতিথির আমার ছবি ভাল লেগেছে। কমিউনিকেট না করতে পারার থিম নিয়েই তো জয় গোস্বামীর উপন্যাসটা লেখা। যার ভিত্তিতে সিনেমাটা তৈরি। এটা বিশ্বের আশি শতাংশ মানুষের সমস্যা,” বললেন অঞ্জন। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের রেট্রোস্পেকটিভ চলছে।
তিনি বললেন, “অনেক বছর পর দর্শকদের সঙ্গে ছবিগুলো দেখলাম।”

বিচ কাহিনি
গত বছর একটা সিনেমার স্ক্রিনিং ছিল ইফিতে। ‘এলার চার অধ্যায়’ ছিল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এ বার দুটো সিনেমা। কোঙ্কনি সিনেমায় প্রথম অভিনয় করছেন টলিউডের পাওলি। গোয়াকে নিয়ে তৈরি গোয়ান পরিচালকের ছবি। তাই সাপের মতো লাইন আইনক্সের থিয়েটারের সামনে। কিন্তু এ কোন গোয়া দেখানো হল সিনেমায়?
বিদেশি পর্যটকদের হাতে শিশু নির্যাতন থেকে শুরু করে, পুলিশ কী ভাবে বিচে ব্যবসা করতে আসা মহিলাদের হেনস্তা করে এ সবই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে।
“আমার একটু দ্বন্দ্ব ছিল এই নিয়ে যে দর্শকদের ছবিটা কেমন লাগবে। দেখলাম সবার ভাল লেগেছে। সেটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি,” বলে রেড কার্পেটের দিকে এগিয়ে গেলেন পাওলি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.