বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুনের দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। বুধবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট) শুভার্থী সরকার এই রায় দেন। পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৩০ মে চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ তামলিপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জিত দাস খুন হন। স্ত্রী জয়ন্তী ওরফে আন্না ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে ছানা খেতে দেয়। অচেতন সঞ্জিতবাবুকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। জয়ন্তীর জামাইবাবু গোবিন্দ বিশ্বাস তিন জন ভাড়াটে দুষ্কৃতীকে দিয়ে ওই খুন করান বলে অভিযোগ ওঠে। প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন গোবিন্দবাবু।”
|
বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা সাত কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া না-হলে ফের হিন্দমোটর কারখানার লাইন কেটে দেওয়া হবে। বুধবার এক বৈঠকে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে হিন্দমোটর কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডে ও হিন্দমোটর-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর উত্তম বসু আলোচনায় বসেন। বিদ্যুৎ ভবন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সংস্থা কর্তৃপক্ষকে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারের মধ্যে বিল বাবদ পাওনা পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য হুগলি জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
পুরনো খবর: বিদ্যুতের লাইন কাটা হল হিন্দুস্তান মোটরসের
|
বাড়ির পাশেই রেললাইনের ধারে বুধবার সন্ধ্যায় শৌচকর্ম সারতে গিয়েছিল বছর এগারোর এক কিশোরী। কিছু পরেই গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় ছুটতে ছুটতে ফিরে আসে সে। আগুনের জ্বালা সহ্য করতে না-পেরে শুয়ে পড়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় জমে থাকা জলে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়ায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাঠানো হয় কলকাতা মেডিক্যালে। কিশোরীটির বাবা গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানান, মেয়ে রেললাইনের কাছে যেতেই একটি ছেলে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মেয়ে চিৎকার শুরু করাতেই তাকে ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও করেছেন বাবা। এই ঘটনায় এলাকার দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চোলাই ও সাট্টার ঠেকের সূত্রে এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে।
|
গণনার ফল বেরোনোর পরই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবারের ঝিঙা গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামের সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর ওই গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে মারপিট হয়। পুলিশ গিয়ে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেয়। মঙ্গলবার রাতে দু’পক্ষই এথানায় মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে। তৃণমূল সিপিএমের চারজনের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল সিপিএমের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই পঞ্চানন হালদার নামে এক সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। |