|
|
|
|
হাওয়া কেড়েছে তেলেঙ্গানা, খাদ্য-সুরক্ষা |
আজ অস্ত্র সন্ধানে সঙ্ঘ-বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কংগ্রেস যখন তাদের খোয়ানো জমি আবার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে, সেই সময় লোকসভার জমি প্রস্তুত করতে আরএসএস নেতৃত্ব আগামী কাল বৈঠকে বসছেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। বিজেপি সূত্রের মতে, ইউপিএ সরকার তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়ায় এই প্রসঙ্গে চাপ দেওয়ার সুযোগ হাতাছড়া হয়েছে বিজেপি-র। তার উপরে খাদ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করে দেশের সিংহভাগ মানুষের মন জয়েরও চেষ্টা করছে তারা।
এই অবস্থায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র রণকৌশল কী হবে, তা নিয়েই কাল দিনভর আলোচনা হবে। এ জন্য সকালেই দিল্লি আসবেন নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর নেতৃত্বে প্রচার কমিটি তৈরি হওয়ার পর এটাই সঙ্ঘ ও বিজেপি-র মধ্যে প্রথম বড় বৈঠক। যার লক্ষ্যই হল, সঙ্ঘ ও বিজেপি-র মধ্যে সমন্বয় আনা ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া। লালকৃষ্ণ আডবাণী অবশ্য না-ও থাকতে পারেন এই বৈঠকে। সে কারণে মোহন ভাগবতের ঘনিষ্ঠ ভাইয়াজি জোশী আজ বৈঠক সেরে ফেলেন আডবাণীর সঙ্গে। কিন্তু রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ থেকে শুরু করে বিজেপি-র সব শীর্ষ নেতাই কাল আলোচনায় বসবেন সঙ্ঘের ভাইয়াজি জোশী, সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে, কৃষ্ণগোপালদের সঙ্গে।
তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের ঘোষণায় বিজেপি এখন বিপাকে পড়েছে। হায়দরাবাদে ১১ অগস্টের সভায় পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতেই সরব হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মোদী। কংগ্রেসের চালে এখন বিকল্প রণকৌশল খুঁজতে হচ্ছে বিজেপি-কে। গত কাল রাতেই মোদী তাঁর ব্লগে সনিয়া গাঁধী ও রাহুলকে আক্রমণ করেছেন এই সিদ্ধান্ত নিতে এত সময় অপচয় করার জন্য। ঘোষণা হলেও তা রূপায়ণ করতে কত সময় লাগবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদী।
আবার একই সঙ্গে তেলেঙ্গানা গঠন নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বাকি অংশের রোষকেও উস্কে দিয়েছেন তিনি। তেলেঙ্গানা রাজ্যের ঘোষণা হতেই যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতে শুরু করেছেন, সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে নতুন কৌশল নিচ্ছে বিজেপি।
মায়াবতী যেমন আজ উত্তরপ্রদেশকে চার ভাগে ভাগ করার দাবি তুলেছেন, সেই রাজ্যেরই বিধায়ক উমা ভারতী আবার বুন্দেলখণ্ডকে পৃথক রাজ্য করার দাবি জানিয়েছেন। তুলেছেন রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠনের দাবিও। আগামী কালের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনার জন্য অন্ধ্রের নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডুকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিজেপি-র বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে পুঁজি করে মোদীর উন্নয়নের মডেলকে সামনে রেখেই নির্বাচন হবে। কিন্তু কংগ্রেসও তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া। মোদীর উত্থান
ঠেকাতে তারা লোকসভার আগামী নির্বাচনকে ধর্মনিরপেক্ষ বনাম সাম্প্রদায়িক শক্তির লড়াই হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
এটি যেমন একটি দিক, তেমনই দলের মধ্যেও টানাপোড়েন রয়েছে মোদীকে ঘিরে। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার চাপ রয়েছে নিচু তলা থেকে। কিন্তু আডবাণীদের আপত্তির কারণেই সেই ঘোষণা
করা হচ্ছে না। তবে দলের শীর্ষ স্তরে মতান্তর ঘুচিয়ে যাতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ে ঝাঁপানো যায়, তার জন্যই সঙ্ঘ নেতৃত্ব আগামী কাল বৈঠকে বসছেন। |
|
|
|
|
|