|
|
|
|
| |
| সহপাঠিনীকে পাচারের চেষ্টা, গ্রেফতার চার |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
| এক স্কুলছাত্রীকে মুম্বইতে পাচার করার চেষ্টার অভিযোগে তারই সহপাঠিনীকে ধরল পুলিশ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে। ঘটনায় ওই সহপাঠিনীর বাবা-মা এবং অন্য এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃত চার জনকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে সকলেরই সোমবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। খড়্গপুর টাউন থানার আইসি অরুনাভ দাস বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এক স্কুলছাত্রী-সহ চার জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রেলশহরের ইন্দায় বাড়ি নন্দিনী সিংহ নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে ছিল তার সহপাঠিনী দুর্গা ইল্লি এবং সোমা দে নামে এক মহিলা। দুর্গার বাড়ি শহরের কৌশল্যায়। সোমার সাঁজোয়ালে। পরে পুলিশ দুর্গার বাবা অশোক ইল্লি এবং মা ঝুন্নু ইল্লিকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নন্দিনীকে মুম্বইতে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। ওই স্কুলছাত্রীর নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ঘটনার কিছু দিন আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার মনোমানিল্য হয়েছিল। ফলে, মন খারাপ ছিল। নন্দিনীর এই মানসিক অবস্থার কথা জানত দুর্গাও। সে তাকে মুম্বইতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। জানায়, ওখানে তার আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় নন্দিনী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, ধৃত চার জনই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কিন্তু, ১৬ তারিখ থেকে নন্দিনী কোথায় ছিল? পুলিশের অনুমান, সাঁজোয়ালের বাসিন্দা সোমার কোনও পরিচিতের বাড়িতে তাকে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে মুম্বইতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। ঘটনার সঙ্গে কোনও দুষ্টচক্রের হাত রয়েছে কি না, তদন্তে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
 |
|
|
