জমা জলে ভোটের প্রচারও অথৈ জলে
কটানা বৃষ্টিতে বাধ সাধল ভোটের প্রচারে। কোথাও মঞ্চের বাঁশ বাধা যায়নি. আবার কোথাও হাঁটু জল। চাষ-আবাদের সে রকম ক্ষতি না হলেও সমস্যা হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে।
শনিবার রাত থেকে রবিবার একটানা বৃষ্টিতে ভোট প্রচার লাটে ওঠে। হাওড়া, হুগলির কোথাও নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ বাধা যায়নি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জনসভাস্থল। ডান-বাম সকলেই প্রচার বাতিল করতে শুরু করেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চুঁচুড়া, হুগলি, ব্যান্ডেল, মগরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
এ বিষয়ে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “গত দু’বছর ধরে জেলার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। ফলে, নিচু অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টির জল জমে মানুষ হয়রান হচ্ছেন। এই সব এলাকায় এই মুহূর্তে ভোটের প্রচারেও সমস্যা হচ্ছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “জল জমছে যেখানে, সেই সব জায়গায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এটা ঘটনা।”
প্রবল বর্ষণে কোদালিয়া ১ পঞ্চায়েতের পল্লিশ্রী এলাকায়
পানীয় জলের সমস্যা। রবিবার ছবিটি তুলেছেন তাপস ঘোষ।
আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “বৃষ্টির জন্য প্রচারে সমস্যা তো হচ্ছেই। কিন্তু প্রচারে তো না বেরিয়েও উপায় নেই।” সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন হাওড়ার সিপিএম নেতা হান্নান মোল্লাও। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সময়ে ভোট ফেলল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্য দিকে, চুঁচুড়ার পল্লিশ্রী ও লেনিন নগরের বাসিন্দাদের জল জমার সমস্যা প্রতি বছরের মতোই ভোগাচ্ছে বাসিন্দাদের। কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের এই এলাকায় ব্যাপক জল জমেছে। পুকুর উপচে জল চলে আসে রাস্তায়। ব্যান্ডেল স্টেশন-সংলগ্ন গলা পুলে জল জমে যায়। বর্ষায় পুলের নীচের জল জমাটা দীর্ঘদিন ধরে এখানকার বাসিন্দাদের পরিচিত ছবি। স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টা করেও সমস্যা দূর করতে পারেনি। ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীদের ঘুরপথে স্টেশনে পৌঁছতে হয়। লেনিন নগর, পল্লিশ্রী এলাকার অধিকাংশ বাড়িতেও জল ঢুকেছে।
বেশিরভাগ পানীয় জলের কলগুলি নিচু হওয়ায় জমা জলে বাসিন্দারা পড়েছেন আরও সঙ্কটে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জল জমার সমস্যা বছরের পর বছর ধরে পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও ফল হচ্ছে না। যাদের হাতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা থাকে, তারাই প্রতিশ্রুতি দেয় বর্ষার আগে রাস্তা উঁচু করে জল জমার সমস্যা দূর করা হবে। কিন্তু ভোট মিটলেও পরিস্থিতি যে কে সেই। স্থানীয় বাসিন্দা মাধবী হালদার বলেন, “বর্ষার জল জমা আমাদের কাছে নতুন কোনও ঘটনা নয়। একটু বেশি বর্ষণ হলেই রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে।”
কোদালিয়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ওই এলাকাগুলি এতটাই নিচু যে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। নিকাশি নালা করার ক্ষেত্রে বাধ সাধছে আর্থিক সমস্যা। তা ছাড়া, ওই সব এলাকায় ১০০ দিনের কাজের ভিত্তিতে নিকাশি ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। আগামী দিনে প্রথম কাজই হবে ওখানকার নিকাশি ব্যবস্থা।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.