ছবি: ইটস সাচ আ বিউটিফুল ডে
দেশ: আমেরিকা
পরিচালক: ডন হার্টজফেল্ডট
সাল: ২০১২
বিল’কে আপনি কাঠি-মানুষ বলতে পারেন। কাঠির মাথায় আলুর দম বললেও কিচ্ছু ভুল হয় না, বরং একটু বেশিই ঠিক হয়! ছেলেমেয়েরা পড়তে পড়তে ভয়ানক বোর হয়ে গেলে বইয়ের পাতায় কিংবা খাতার মার্জিনে অমন ঢের ঢের কাঠি-কাঠি হাত-পা’ওয়ালা মানুষ আঁকে। আর তার সরু ছুঁচলো গলাটার ওপর একটা গোল্লা পাকিয়ে তাতে ছোট্ট দুটো ফুটকি চোখও বসিয়ে দেয়। বিলকেও হুবহু ওই রকম দেখতে। এই বিলের মা ছোটবেলায় একটা হেলমেট পরিয়ে বিলকে ইশকুলে পাঠাতেন। আর নিজে পোষা বেড়ালদের গোঁফ-দাড়ি-লোম ছাঁটতেন। বিলের সৎবাবাও সেই কবে তাদের ছেড়ে কেটে পড়েছেন। যাওয়ার আগে শুধু ঘরের দেওয়ালে একটা পোস্টার সেঁটে গিয়েছেন— এই মহিলার সঙ্গে থাকা অসম্ভব! তার পরেও বিল বড় হয়! তার নানা পিটপিটানি বাতিক গজায়, যেমন— সুপারমার্কেটে সবজি, ফল কিনতে গিয়ে বিল মরে গেলেও ঝুড়ির সামনের দিকের জিনিসগুলো ছোঁবে না! কী করে ছোঁয় বলুন দিকি! তন্বী ছিপছিপে মেয়েটিই হোক, বা বেলুনের মতো মস্ত ভুঁড়িওয়ালা লোকটাই হোক, বাজারে জিনিস বাছাবাছির সময় আলু-পেঁয়াজ-আপেলের পাহাড়ের সামনের দিকে পেটটা ঠেকাবেই ঠেকাবে। তার মানেই তাদের নোংরা-ঘেমো-বাসি-এঁটো জামাকাপড় থেকে গাদা গাদা ব্যাকটিরিয়া ওই সব ফল-সবজির গায়ে মাখামাখি হয়ে যাবে! কী ঘেন্না, কী ঘেন্না!
বাজার-অফিস-পার্ক, সকাল-সন্ধে ঘরে বসে টিভি, এমনি করেই দিন কাটে বিলের। যেমন আমাদের অনেকেরই। কিন্তু বিলের দেখার ধরনটা ঠিক আমাদের মতো নয়। যেমন, বাসস্ট্যান্ডে আপনার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো স্যুট-টাই-অ্যাটাচিওয়ালা লোকটার মাথাটা যে আসলে গরুর মতো, সেটা আপনার চোখেই পড়বে না। বিলের চোখে পড়ে! পার্কে বা রাস্তায় যে লোকটা খুঁটে খুঁটে সব পাতা পরিষ্কার করে, আপনি তাকে খেয়ালই করবেন না! বিল করে। বিলের এই দেখাশোনা, ঘোরা-ফেরা, রোজকার বেঁচে থাকা নিয়েই ছবি। এটাকে অবশ্য ‘একটা’ ছবি বলা ঠিক হবে না। বিলকে নিয়ে পরিচালকের অ্যানিমেশন সিরিজের প্রথম দুটো পর্ব ‘এভ্রিথিং উইল বি ওকে’ ও ‘আয়্যাম প্রাউড অব ইউ’-এর সঙ্গে এই তিন নম্বর পর্বটা জুড়ে যেন পুরো ছবিটা।
মাথাটা কাঠির ডগায় আলুর দম হলে কী হবে, সেই মাথায় বাস্টার কিটন-মার্কা একটা পর্ক-পাই টুপিও আছে, আর মাথার মগজের মধ্যে আছে ঠাসাঠাসি হরেক জট। বিলের মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথা করে। মনে হয় মাথার ভিতর আস্ত একটা ট্রাউট মাছ যেন ঢুকে পড়েছে। তার নানা রকম হ্যালুসিনেশন হয়। মেক্সিকান টিভি চ্যানেলে দেখা ভয়ানক রক্তারক্তির বক্সিং ম্যাচ স্বপ্নের মধ্যে বার বার ফিরে আসে। মুভি চ্যানেলে দেখা কিং কং নিউ ইয়র্কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁত খিঁচোয় আর দুমাদুম বুক চাপড়ায়। হাসপাতালের বিছানায় শুইয়ে বিলের মগজের অন্দরের ছবি তোলা হয়। ডাক্তাররা নিদান দেন, বিলের স্মৃতিগুলো সব মুছে যাচ্ছে— বছরগুলো মাথার ভিতর থেকে পিছলে পিছলে যাচ্ছে! অনেকখানি সময়, অনেকটা স্মৃতি, অনেকগুলো চরিত্র বেমালুম এ পাশ-ও পাশ হয়ে যাচ্ছে। এ হেন বিলের জীবনের গল্পটা তো আর শুধু সোজাসাপটা অ্যানিমেশনে বলা যায় না। তাই চিরকেলে লাইন-ড্রয়িং অ্যানিমেশনের সঙ্গেই এ ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে নানা অপটিকাল এফেক্ট, এমনকী লাইভ অ্যাকশন স্টক ফুটেজও। তাই কাঠি-মানুষ বিল তার কাঠি-কাঠি হাত-পা’ওয়ালা বান্ধবীকে নিয়ে যখন অ্যানিমেটেড পার্কের ঘাস-গালিচায় এমনি শুয়ে শুয়ে গল্প করে, তখন তাদের গায়ের ওপর সত্যিকারের গাছ থেকেই টুপটাপ করে ঝরে পড়ে সত্যিকারের পাতা! বিলের যখন মনে হয় জীবনটা একটা গাড়ির মতো, আর সে তার ড্রাইভার, তখনও অপটিকাল এফেক্টে হু-হু করে সরে যায় শহর, রাস্তা, দোকান, মানুষ। তবে এই গোটা ছবিটাকে ধরে রেখেছে ডনের দুরন্ত ন্যারেশন। ভাষ্যপাঠ না বলে যেটাকে ‘থট রিডিং’ও বলা যায়। বিলের গোটা মনটাকেই তিনি পড়ে দিয়েছেন। কালো-কষটা তিতকুটে কমেডির পাশেই সেখানে আচমকা ঝিলিক মারে হালকা নিখাদ মজা আর গভীর অনুভবের উচ্চারণ। একেবারে শেষে এত ক্ষণের সাদা-কালো ছবিটা পুরোদস্তুর রঙিন হয়ে ওঠে। কমিক স্ট্রিপ-এর মতো দেখতে পৃথিবীটাও তখন জ্যান্ত, সচল! সেই দুনিয়ায় অতীত কখনও হারায় না। ভবিষ্যতেও যা হওয়ার, সেটা আগে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।


দেশের স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালনের জন্য যখন নানা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন সবার পাতে ভাত পৌঁছে দেওয়াটাই রাজ্য সরকারের কাছে এক কঠিন সমস্যা। হাজার হাজার একর কৃষিজমিতে পাওয়া যাচ্ছে আগাছায় ঢাকা অসংখ্য প্রস্তরখণ্ড, বিভিন্ন মাপের শিলা। বেশির ভাগ পাথরে খোদাই করা লেখাগুলো পড়া যাচ্ছে না। কারা এগুলি পুঁতেছিলেন, তাও অস্পষ্ট। এগুলি বহু প্রাচীন কবরস্থানের শিলাফলক, না শহিদ বেদি, না কোনও প্রাগৈতিহাসিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অস্ত্র-গুদাম, তা নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে তর্ক চলছে। বাংলায় লেখা ফলকগুলির পাঠোদ্ধার করার মতো ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না অধিকাংশ এলাকাতেই। স্কুলে এখন আর বাংলা পড়ানো হয় না। অনেকে আবার বলছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে চল্লিশ- পঞ্চাশ বছর আগে হয়তো ছোটখাটো পাহাড় ছিল। এ সব পাথর সেই পাহাড়েরই অবশেষ। কিন্তু কোন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এতগুলি পাহাড় ধূলিসাৎ হল, তার কোনও রেকর্ড নেই। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন আর এমন জমিতে চাষ করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, রাজ্য সরকার কাঁটাতার দিয়ে জমিগুলি ঘিরেও দিচ্ছেন, কারণ এতখানি ইতিহাস-মূল্যের সম্ভাবনা যে জায়গার, তাকে সাধারণ খাদ্য-উৎপাদনে ব্যবহার করা যায় না। ফলকগুলি উদ্ধার করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে পুরাতত্ত্ব বিভাগের কাছে। আশা করা যাচ্ছে বছরখানেকের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে। যদিও এর মধ্যেই ওখানে জাদুঘর বানানোর দাবি উঠেছে, আবার একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ওখানে মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করছেন, কারণ তাঁদের কাছে জলের মতো পরিষ্কার যে হনুমান যখন গন্ধমাদন নিয়ে উড়ে আসছিলেন, তখন ওই পাথরগুলি খসে পড়েছে। এক-আধটি চুটকি রিয়েলিটি-শো’তে অবশ্য বলা হয়েছে, এগুলি তিরিশ-চল্লিশ বছর অথবা তারও আগের প্রস্তাবিত রেল প্রকল্পের শিলা হতে পারে। সকলে খুব হেসেছেন।

দশটা অসম্ভব কাণ্ড


দাড়িওয়ালা মিস ইউনিভার্স

শনিবারে বেরোল রবিবাসরীয়

রাবণ গলাতে গেল গেঞ্জি

রাহু খেল পেট পুরে

ইন্টারভিউয়েই রেজিগনেশন দিল প্রার্থী

জোনাকির লোডশেডিং


শুয়োরের বাচ্চা নিজেকে খিস্তি ভেবে কেঁদে একশা হল

আপনাকে না খেয়ে বাঘ খেল আপনার ভেজ স্যান্ডউইচ

চান করতে করতে ইস্ত্রি

১০

শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে পালিয়ে গেল নেতাজির ঘোড়া

• উত্তরাখণ্ডের ভয়ংকরতম দুর্যোগে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ভারতীয় সেনার যুদ্ধকালীন তৎপরতার চিত্র রোজ কাগজে। প্রলয়ভূমিতে মানুষ ত্রাণ করছে মানুষকে, মৃত্যুর চূড়া থেকে ফিরিয়ে আনছে নিশ্চিন্ততার সমতলে। মানুষের মতোই বিপন্ন স্থানীয় প্রাণী, কিন্তু তাদের বাঁচানোর চেষ্টা আদৌ চোখে পড়েনি। অর্থ, ওষুধ, খাবার, জল, সাহায্যের হাত, সবই মানুষের জন্য। অথচ গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারের দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার খাড়াই পথে লক্ষ অশক্ত বৃদ্ধবৃদ্ধা পুণ্যার্থীর যষ্টি ঘোড়া, খচ্চর। সরকারি হিসেব মতে, কেদারনাথে ১২০০০ ঘোড়া আর খচ্চর ছিল, গরুভেড়াকুকুর অগুনতি। সে দিনের দুর্যোগে কত প্রাণী ভেসে গেছে, মরে গেছে, কতই বা এখনও জীবিত, আহত আটকে পড়ে আছে, হিসেব নেই। মানুষ মানুষকে বাঁচাতে সচেষ্ট, পশুটশুর খবর কে রাখে। আশার কথা, কেউ কেউ রাখেন। ‘পিপ্ল ফর অ্যানিম্যাল্স’ সংস্থার উত্তরাখণ্ড ও দেরাদুন শাখা, মার্কিন প্রাণিকল্যাণ সংস্থা ‘হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল’-এর ভারত শাখার সদস্যদল পৌঁছেছেন, বাঁচাচ্ছেন মারাত্মক আহত প্রাণীগুলিকে, সঙ্গী পশুচিকিৎসকরা ভ্যাক্সিন, অ্যান্টিবায়োটিক, পথ্য দিয়ে শুশ্রূষা করছেন। মৃত প্রাণী থেকে দূষণ, রোগ না ছড়ায়, তাও লক্ষ্য। মানব-বন্ধু, আতুর প্রাণগুলির রক্ষায় আগুয়ান এই মহা-মানবদের প্রয়াস প্রণম্য।

• নিজের জন্মদিনে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং-আন সেনাকর্তাদের বিলোলেন হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন কাম্ফ’। সঙ্গে জ্বালাময়ী ভাষণ। তাতে বোঝালেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া জার্মানিকে কী অসম্ভব দক্ষতা ও নেতৃত্বে পুনর্গঠিত করেছিলেন হিটলার। সেই পথেই উত্তর কোরিয়াকে গড়তে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশালী, আদর্শ দেশ। বিরোধী রাষ্ট্রকুল হাঁ হাঁ, এমত খুল্লমখুল্লা হিটলার-প্রীতি তো বাই ডেফিনিশন পলিটিকালি ইনকারেক্ট! কিন্তু এমন তর্ক চলতে পারে, হিটলারের নাম শুনলেই এমন অসহনশীলতা কেন? রসিকতার ছলে তাঁকে প্রশংসা করে এই সে দিন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে বিতাড়িত হলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। এই ‘ওর নামটা অবধি করা যাবে না, কোনও প্রেক্ষিতেই ওর নামে কিচ্ছুটি ভাল কক্ষনও বলা যাবে না’ ব্ল্যাংকেট-ফতোয়াও কি খুব অ-হিটলারোচিত? হিটলারের শাসনপর্ব থেকে কেউ যদি খুঁটে বের করতে চান অনুসরণীয় গুণ বা নীতি, ক্ষতি কী? চরম ভিলেনেরও দু-তিন সদর্থক শেড থাকতে পারে, তা চেনার চেষ্টা মাত্রেই ক্রাইম নয়। কেউ কেউ তো ভিলেনকে জাপটে ‘মেঘনাদবধকাব্য’ও লিখতে পারেন!
দাদুর মাথায় টাক ছিল, সেই টাকে তেল মাখছিল
কিন্তু অ্যালাস: গাছের ডালে তাক করে এক কাক
ছিল দিদার ভীষণ জাঁক ছিল, শাক দিয়ে মাছ ঢাকছিল
বিচ্ছিরি লাক: শাকের খেতে মিলিটারির ট্রাক ছিল
দুর্ভাগ্য

১¶ যে ভাগ্য কিছুটা দূরে আছে।
২¶ তিন গুণ ‘গেট আউট’। দূর, ভাগ, Go!

• দুর্ভাগ্য হল সেই নেড়ি কুকুর, যে এক দিন না এক দিন কামড়াবেই।
টমাস কিয়েভ

• বেশির ভাগ মানুষ সৌভাগ্যকে মনে করে জন্মগত অধিকার, দুর্ভাগ্য এলেই ভাবে, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলাম।
উইলিয়াম ফেদার

• সাহসী লোকের কাছে, সৌভাগ্য আর দুর্ভাগ্য হল ডান হাত আর বাঁ হাতের মতো। দুটোকেই সে ব্যবহার করে।
সিয়েনা-র সেন্ট ক্যাথরিন

• কিছু লোক দুর্ভাগ্যকে এত ভালবাসে, তার সঙ্গে দেখা করতে আগ বাড়িয়ে দৌড়ে যায়।
ডগলাস উইলিয়াম জেরল্ড

• প্রঃ দুর্ভাগা কে?
গর্গরেফ: অভাগা যে দিকে চায়, ফুচকা ফুরায়ে যায়। চানের গরম জল অচিরে জুড়ায়ে যায়।
প্রঃ সৌভাগ্য কার?
গর্গরেফ: যার পরীক্ষা অপ্রত্যাশিত পিছিয়ে যায়, যার বউ কখনও সেক্স রিফিউজ করে না, জাস্ট সকালবেলা খিঁচিয়ে যায়।
প্রঃ দুর্ভাগাভাগি কী?
গর্গরেফ: মেয়ে জন্মাল অসম্ভব রোগা, প্যাঁকাটি বলে প্যাঁক। বড় হতে, ‘জিরো ফিগার’, ফিল্মে চেয়ে দ্যাখ!






First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.