১৩ দিনে অভিযোগ ৯৪টি
মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনও অশান্ত
প্রথম দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন-পর্ব মিটল সোমবার। এ দিন ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৯৪টি। মনোনয়ন-পর্বে হুমকি, মারধর-সহ নানা অভিযোগে বিরোধীরা যে মাত্রায় সরব হয়েছিল, সেই তুলনায় নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা কম বলেই মনে করছে প্রশাসন। জেলার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন ঘোষ বলেন, “৯৪টি অভিযোগের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫৭টি অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যে বাকি তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে যাব। অভিযোগ পেলেই আমরা পদক্ষেপ করছি।”
মনোনয়ন-পর্বের শেষ লগ্নও অবশ্য নির্বিঘ্ন হল না। মা সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন বলে মার খেতে হল ছেলেকে। রেয়াত করা হল না পরিবারের অন্য মহিলাদেরও। সব মিলিয়ে আহত হন ৪ জন। দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে ঘটনা ঘটেছে শালবনির জাড়ায়। এই গ্রামেই বাড়ি মঞ্জু সিংহের।
খড়্গপুরে তৃণমূলের পুড়ে যাওয়া কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।
তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। মঞ্জুদেবী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে ছেলে অরূপকে মারধর করা হয়। প্রহৃত হন অরূপবাবুর স্ত্রী ঝুম্পাদেবীও। সোমবার সকালে হাসপাতালে জখমদের দেখতে এসেছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। সেখানে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।”
সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘পাল্টা সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। রবিবার রাতে খড়্গপুর লোকাল থানার সাঁকোটিতে তৃণমূল কার্যালয় পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সোমবার সকালে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পরে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী অজিত মাইতির হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। অজিতবাবুর কথায়, “পুলিশকে বলেছি, যারা এ ভাবে রাতের অন্ধকারে কার্যালয় পুড়িয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মেদিনীপুর সদর, মোহনপুর, দাঁতন- ২, পিংলা, নারায়ণগড় থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “শুধু মেদিনীপুর সদরের দু’টি অঞ্চলেই আমাদের ৮ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছে তৃণমূল। বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।” বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের নালিশ, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে বহু আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। যে সব কর্মী-সমর্থকেরা সন্ত্রাস উপেক্ষা করে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, তাঁদেরও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।” সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “কিছু জায়গায় বচসা হয়েছে। সেই থেকে সামান্য উত্তেজনা ছড়াতে পারে। তবে বড় গোলমালের খবর নেই। সিপিএম মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই আমাদের দলের নামে কুৎসা-অপপ্রচার করছে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.