আইএনটিটিইউসি শ্রমিকদের বিবাদের
রেশ, গোলমাল ডিএসপি-র গেটেও
বিবার ডিএসপিতে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ-সহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার রেশ থাকল সোমবারও। এ দিন এক পক্ষ ছিল কারখানার ভিতর, অপর পক্ষ বাইরে। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পরিস্থিতি ফের গরম হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও কারখানার কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর রক্ষীরা তাঁদের হঠিয়ে দেয়।
দুর্গাপুর ইস্পাতে (ডিএসপি) ঠিকা শ্রমিকদের দু’টি সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র। ২০১০ সালের ১৪ মে ‘দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেস’ এর অনুমোদন দেন সংগঠনের তত্‌কালীন রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু। পরে ২০১২ সালের ১৭ অগস্ট আইএনটিটিইউসি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ঠিকা মজদুর ইউনিয়ন’ নামে অন্য সংগঠনটির অনুমোদন দেন। এই সংগঠনের সভাপতি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ২২ মে শোভনদেববাবু ডিএসপি কারখানার গেটে সভা করে পূর্ণেন্দুবাবুর ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচার ও আখের গোছানোর অভিযোগও তোলেন। প্রায়ই এই দুই সংগঠনের মধ্যে গোলমাল পাকছিল।
কারখানা গেটের সামনে জটলা শ্রমিকদের। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সকালেও ঠিকাশ্রমিক নিয়োগের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আমরাইতে সংঘর্ষ হয়। বোমাবাজি চলে। এক আইএনটিটিইউসি সমর্থক ও তিন পুলিশ কর্মী অল্পবিস্তর জখম হন। পুলিশের বিশাল বাহিনী গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সোমবার দুপুরে ফের ডিএসপি’র গেটের সামনে জড়ো হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ঠিকা মজদুর ইউনিয়ন এর কর্মী-সমর্থকেরা। ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীরদবরণ বিশ্বাস, দুর্গাপুর (পূর্ব) কেন্দ্রের বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। কারখানার ভিতরে তখন পূর্ণেন্দুপন্থী দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেস এর কর্মী-সমর্থকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। নীরদবাবুর বক্তব্য, “যারাই ওদের অন্যায় কাজ সমর্থন করেন না, তাদের গায়ের জোরে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এটা মানব না।” অন্য দিকে, কারখানার ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু আশের বক্তব্য, “কিছু কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী-সমর্থক আইএনটিটিইউসি’র নাম নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এটা আমরা রুখব।” পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গেটে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর রক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। এরপরেই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে হঠিয়ে দেয়।
ট্রেন থেকে পড় মৃত্যু। দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তাঁর সঙ্গে ছিল পাঁচবছরের একটি শিশুও। সোমবার রানিগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে ওই ঘটনায় রেল পুলিশ জানায়, দেহদু’টি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

পুরনো খবর



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.