উত্তর কলকাতা
শোভাবাজার
খাঁচাবন্দি প্রকল্প
বাদ সাধল খাঁচা! আটকে গেল রাস্তার ধারে শৌচালয় তৈরির প্রকল্প। সমস্যা সমাধানে বন দফতরের সাহায্য নিতে পারে কলকাতা পুরসভা। এমনই অবস্থা উত্তর কলকাতার শোভাবাজার স্ট্রিটের।
মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, “রাস্তার যেখানে সুলভ শৌচালয় তৈরির জন্য ভাবা হয়েছে সেখানে একটি পাখির খাঁচা আছে। সেখানে পায়রা থাকে। খাঁচা সরিয়ে শৌচালয় তৈরিতে বাসিন্দাদের একাংশের আপত্তি রয়েছে। বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছি নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। না হলে আমাদের বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।”
অনেক দিন ধরেই বাসিন্দারা শোভাবাজার স্ট্রিটে শৌচালয় তৈরির দাবি করছিলেন। কিন্তু জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। কলকাতা পুরসভা সমীক্ষা করে শেষ পর্যন্ত যে জায়গাটি চিহ্নিত করে সেখানে একটি পায়রার খাঁচা আছে। স্থির হয় খাঁচাটি সরিয়ে বিধায়ক তহবিলের অর্থে শৌচালয় তৈরি করা হবে। স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের শশী পাঁজা বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য আমরা বিধায়ক তহবিল থেকে অর্থ দেব। এলাকার বাসিন্দাদের বহু দিনের চাহিদা। আমি পুরকর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি।”
অন্য জায়গায় কি খাঁচাটি সরিয়ে দেওয়া যায় না?
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শৌচালয়ের পাশে পায়রা রাখার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। কিন্তু খাঁচা তৈরির জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কারণ, নিয়মানুসারে বিধায়ক তহবিলের অর্থে খাঁচা তৈরি করা যায় না। তাই খাঁচা বা শৌচালয়ের জন্য বিকল্প জায়গার দরকার।
তবে ঠিকাদার যদি শৌচালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ অর্থের মধ্যেই প্রস্তাবিত জায়গায় পায়রাদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন তাতে পুরকর্তৃপক্ষ কোনও আপত্তি জানাবেন না বলে পুরসভার বস্তি দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ১৯৮৭-তে তৎকালীন কাউন্সিলর পাখি রাখার জন্য রাস্তার ধারেই এই খাঁচা তৈরি করান। তখন এখানে অনেক পাখি থাকত। পরে স্থানীয় বেশ কিছু যুবক এখানে পায়রা রাখতে শুরু করেন। তাঁরাই পায়রাদের খাওয়ান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই খাঁচায় পায়রা রাখার ফলে জায়গাটি দেখতে ভাল লাগে। তাই এই জায়গা থেকে পায়রাগুলিকে না সরানোই ভাল। এখানে শৌচালয় তৈরি করতে হলে পায়রার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মিতালি সাহা বলেন, “বাসিন্দাদের একাংশ খাঁচা সরানোর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করব।”

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.