প্রায় পাঁচশো দলীয় কর্মী-সমর্থককে নিয়ে রবিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন হাবরা শহর কংগ্রেসের সভাপতি নীলিমেশ দাস। তিনি হাবরা পুরসভার নির্দল কাউন্সিলরও। নীলিমেশবাবুর এই দলবদলকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব গুরুত্ব দিতে রাজি না হলেও হাবরার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই মনে করছেন, এর প্রভাব কয়েক মাস পরের হাবরা পুরসভার নির্বাচনে পড়তে পারে।
রবিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলবদল করলেন নীলিমেশবাবু। দলে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “কংগ্রেসে থেকে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। এটা নীলিমেশবাবু উপলব্ধি করেছেন।” নীলিমেশবাবু বলেন, “জ্যোতিপ্রিয়বাবু এবং বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার যে ভাবে এলাকার উন্নয়নের কাজ করছেন, তার শরিক হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শও দলে আসতে আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।”
তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ নীলিমেশবাবুর দলে আসাকে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা মনে করছেন, কয়েক মাস বাদে হাবরা পুরসভার নির্বাচনে ফের কাউন্সিলর হওয়ার জন্য নীলিমেশবাবু দলবদল করলেন। তা না করে ফের নির্দল বা কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে দাঁড়ালে তাঁর জেতা কঠিন ছিল। এ জন্য কয়েক মাস ধরেই নীলিমেশবাবু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কাকলিদেবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। ২০০৮ সালের হাবরার পুর নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হয়নি। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে নীলিমেশবাবু ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতেন।
নীলিমেশবাবু দল ছেড়ে দেওয়ায় জেলা কংগ্রেস অবশ্য ‘স্বস্তি’তে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবী ঘোষাল বলেন, “মাস ছয়েক আগে নীলিমেশবাবুকে হাবরা শহরের সভাপতি করা হলেও তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। কমিটি গঠন করছিলেন না। দলই হয়তো ওঁকে সরিয়ে দিত। উনি দল ছাড়ায় আমরা স্বস্তি পেলাম।” |