|
|
|
|
পুর-সমস্যা, শুনানি ৮ মার্চ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকারের চেয়ে শাসক দল বড়। ধুলিয়ান পুরসভার সমস্যা মেটাতে জেলাশাসকের ডাকা জরুরি বৈঠক বাতিল করে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন অন্তত তেমনই নজির গড়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে পুরসচিবের হস্তক্ষেপে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ৫ মার্চ ওই পুরসভার সব পুরপিতাকে তলব কড়েন। সেখানেই ওই পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি রেজিনগরের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী, রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর পরাজিত হওয়ার পরেই পরিস্থিতির বদলাতে তাকে। পরের দিন, ১ মার্চ ধুলিয়ান পুরসভার ন-জন কংগ্রেস কাউন্সিলার রাতারাতি তৃণমূলে যোগ দেন। পরের দিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারনণ সম্পাদক মকুল রায় মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজীব কুমারকে চিঠি লিখে জানান, কংগ্রেসের কাউন্সিলারেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জেলাশাসক ৫ তারিখের বৈঠক বাতিল করার নির্দেশও দেন মুকুলবাবু। কালবিলম্ব না করে প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করেন জেলাশাসকও। বাতিল করে দেন ওই বৈঠক। ঠিক হয় বৈঠক হবে ৮ মার্চ।
ইতিমধ্যে তৃণমুল কাউন্সিলারেরা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের দাবি, পুরসচিবের নির্দেশে জেলাশাসক ওই বৈঠক ডাকতে পারেন না। মঙ্গলবার এ নিয়ে শুনানির সময় জানা যায়, ১৯ সদস্যের ধুলিয়ান পুরসভায় বামফ্রন্টের সদস্য সংখ্যা ১০ এবং তৃণমূলের ৯। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত দু-পক্ষকে বলেন, কোন দলের কত জন সদস্য তা যখন স্পষ্ট তখন ৮ মার্চ বৈঠক করা যেতেই পারে। তা হলে চেয়ারম্যান নির্বাচনের কাজও শেষ করা যাবে। বামফ্রন্টের পক্ষে আইনজীবী মিলন ভট্টাচার্য বিচারপতির ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানাননি। কিন্তু তৃণমূলের আইনজীবী তা মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, পুরসচিবের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা যে মামলা করেছেন আগে তার নি,্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। বিচারপতি ৭ মার্চ সে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন। |
|
|
|
|
|