|
|
|
|
আরও পড়ল হতাশ বাজার, বৃদ্ধি নামতে পারে ৫ শতাংশে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
চলতি অর্থবর্ষের শেষে ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বৃদ্ধির হার। কেন্দ্র (৫.৭%), রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (৫.৫%) সর্বশেষ পূর্বাভাসের তুলনাতেও যা অনেকটাই কম।
বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিকাল অর্গানাইজেশনের (সিএসও) এই ঘোষণায় আরও হতোদ্যম হয়ে পড়ল মুষড়ে থাকা শেয়ার বাজার। এ দিনকে ধরে টানা ৬ দিন পড়ল সেনসেক্স। যা হার মানাল ২০১১-র নভেম্বর মাসের টানা ৫ দিনের পতনকেও। এই ছ’দিনে মোট ৪২৫ পয়েন্ট খুইয়েছে সূচক। এ দিনের পতন অবশ্য তুলনায় কম। ৫৯.৪০ অঙ্ক। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদ নির্ধারণ নিয়ে দিনভর দোলাচলও দুর্বল করেছে বাজারকে। |
সম্পূর্ণ হিসাবের অপেক্ষা? ছবি: পিটিআই |
এই সে দিনও ঋণনীতি পর্যালোচনার সময় বৃদ্ধি অন্তত ৫.৫% হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অর্থ মন্ত্রকের মতে তা হওয়ার কথা ৫.৭%। তাই সেখান থেকেও বৃদ্ধির এই পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুশি করেনি বাজারকে। বিশেষত যেখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে গিয়ে একেবারে নিরাশার ছবি তুলে ধরেছে সিএসও। জানিয়েছে, উৎপাদন শিল্প, কৃষি, পরিষেবা তিন ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির হার কমবে আগের বছরের থেকে।
তবে সিএসও-র এই আগাম পরিসংখ্যানকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর সঙ্গে একমত যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজনও। এঁদের সকলেরই মতে, অর্থবর্ষের শেষে প্রকৃত পরিসংখ্যান সামনে এলে দেখা যাবে, বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশের কিছুটা উপরেই। অর্থমন্ত্রীর কথায়, “নভেম্বরের পর থেকে পাওয়া তথ্যে চোখ রাখলে মনে হয়, বৃদ্ধির হার যা বলা হয়েছে, তার থেকে ভাল হবে।”
কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও বৃদ্ধির মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুশি করতে পারেনি বাজারকে। সুমেধা ফিস্কাল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর বিজয় মুর্মুরিয়া বলেন, “বাজারের অবস্থা বেশ কিছু দিনই খারাপ। তার উপর এই খবর। ফলে বাজার আরও পড়তে পারে।”
তবে এই মুহূর্তে সূচকের বড় পতনের সম্ভাবনা প্রায় উড়িয়ে দিয়েছেন বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খন্ডেলওয়াল। তিনি বলেন, “বর্তমানে ৫% বৃদ্ধি হচ্ছে, বাজারে লগ্নির জন্য এমন দেশ পাওয়া কঠিন। তাই অন্তত এখন বিদেশি লগ্নিকারীদের অন্যত্র বিনিয়োগ করার তেমন উপায় নেই। বাজেট বা তার আগে কোনও উৎসাহজনক ঘোষণা হলে, বাজার ফের চাঙ্গা হতে পারে।” |
|
|
|
|
|