|
|
|
|
কোলাঘাটে সেতুর কাজে বাধা,ফের অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোলাঘাট |
ফের কোলাঘাট সেতুর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার অভিযোগের তির দলের ব্লক সম্পাদক বাসুদেব রায়ের বিরুদ্ধে।
কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে রূপনারায়ণ নদের উপর দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজে কয়েকদিন আগেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বাসুদেববাবুও বিপ্লববাবুর অনুগামী বলে পরিচিত। ওই সেতু তৈরির জন্য কোলাঘাট বাজারের কাছে যে দোকানগুলি ভাঙা পড়বে, এ দিন সেগুলির বিদ্যুতের মিটার খুলতে গিয়েছিলেন একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। ওই বাজারে বাসুদেববাবুরও একটি মাংসের দোকান রয়েছে। তিনি তখন ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ওই ঠিকাদার সংস্থা সে কথা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতিকে অভিযোগ জানিয়েছে। ওই সংস্থার আধিকারিক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন আমরা ওখানে গেলে বাসুদেববাবু কাজ বন্ধ রাখতে বলে হুমকি দেন। বাধ্য হয়েই আমরা কাজ বন্ধ করে চলে আসি।” বাসুদেববাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “সেতু তৈরির জন্য এলাকায় যে সব দোকান পড়েছে, তা খালি করে দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এ দিন ঠিকাদার সংস্থার ওই আধিকারিক দোকান পুরোপুরি সরিয়ে নিতে বলেন। আমি তা নিয়ে ফের আলোচনা বসতে বলি। কাজে বাধা বা হুমকির অভিযোগ ঠিক নয়। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়নি।” বিধায়ক বিপ্লববাবু বলেন, “ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।”
তবে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ঘটনায় দলের কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” কোলাঘাটে রূপনারায়ণের উপর পুরনো শরৎ সেতুর দু’পাশে দু’টি নতুন সেতু তৈরির কাজ চলছে। শরৎ সেতুর উত্তর দিকে দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। দক্ষিণে তৃতীয় সেতুর কাজ চলছে। এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে। |
|
|
|
|
|