বাগবাজারের গোপীমোহন দত্ত লেনের বাসিন্দা শুভেন্দু দত্তের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছোটেলাল সাউ মঙ্গলবার গ্রেফতার হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর ছেলে বাপ্পাও ঘটনাটিতে জড়িত, এই অভিযোগ এনে কিছু এলাকাবাসী বাপ্পার বিরুদ্ধে শ্যামপুকুর থানায় একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন। বাপ্পাকে পুলিশ অবশ্য গ্রেফতার করেনি। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) গৌরব শর্মা বলেন, “তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। বাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে যে স্মারকলিপি থানায় জমা পড়েছে, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে বাপ্পা বলেন, “আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। সব অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিতে সকলকে খুশি করা যায় না।” পুলিশকর্তা জানান, ছোটেলালকে এ দিন সকালে গ্যালিফ স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানিয়েছে, শুভেন্দুবাবুকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবক কিরীটি দেবনাথ এবং তরুণ দেবনাথও অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মারহাট্টা ডিচ লেনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে শুভেন্দুবাবুকে ডেকে পাঠিয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য শাসানো হয়। ওই প্রৌঢ়কে মারধর করা হয় দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি মাল্টিজিমের ভিতরে।
|
বিপদগ্রস্ত মহিলার দিকে মমতার হাত মুখ্যমন্ত্রীর |
পথে বিপদে পড়া এক মহিলার পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ মহাকরণ যাওয়ার পথে আলিপুর থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখতে পান, এক মহিলা একটি বেসরকারি বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছেন। নিজের গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর থানার অফিসারদের ওই মহিলাকে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, নীলনয়না বিশ্বাস (৬০) নামে দমদমের বাসিন্দা ওই মহিলা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা। ভবানী ভবনে কোনও কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। ভবানীপুর ট্রাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি-র গাড়িতে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আলিপুর থানার পুলিশই নীলনয়নাদেবীর বাড়িতে খবর পাঠায়। বিকেলে ওই প্রৌঢ়ার ছেলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান।
|
গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ি থেকে কয়েক হাজার টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছিল এক পরিচারিকার বিরুদ্ধে। সোমবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ মঙ্গলবার জানান, ১০ ডিসেম্বর পাটুলি থানার শ্রীকলোনির বাসিন্দা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী অরূপ চট্টোপাধ্যায় চুরির অভিযোগ করেন। অভিযোগ, ৮ ডিসেম্বর গড়িয়ার বাসিন্দা ঝর্না নামে ওই পরিচারিকা খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চুরি করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পরিচারিকার ডান পায়ের ৫টি আঙুল নেই এবং তার নাম ঝর্না নয়। পুলিশ খবর পায়, বারুইপুরের বেদবেড়িয়ার বাসিন্দা রোচিমা সর্দারের বিরুদ্ধে এ রকম চুরির অভিযোগ রয়েছে ও তার ডান পায়ের ৫টি আঙুল নেই। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই মহিলা দোষ স্বীকার করেন। টাকা-গয়না এখনও উদ্ধার হয়নি।
|
ত্রিফলা রিপোর্ট মুখ্য অডিটরের বিবেচনায় |
ত্রিফলা-কাণ্ডে অভ্যন্তরীণ পূর্ণাঙ্গ অডিট রিপোর্টের ব্যাপারে পুরসভার মুখ্য অডিটরের অভিমত জানতে চাইল পুর-প্রশাসন। মঙ্গলবার ওই রিপোর্ট নিয়ে পুরসভার কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। ছিলেন মুখ্য অডিটর বিপ্লব গুহও। দু’তিন দিনের মধ্যে তাঁকে মতামত জানাতে বলা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, ত্রিফলা-দুর্নীতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটি খসড়া রিপোর্টের চেয়েও কড়া। তাতে বলা হয়েছে, বরাতে অনিয়ম ছাড়াও বাতিস্তম্ভ-পিছু বেশ কয়েক হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে পুরসভার। বেসরকারি অডিট সংস্থার কর্ণধার রিপোর্টের মাত্র একটি কপি দেন কমিশনারকে। এ দিন আলোচনার মধ্যে খবর আসে, মেয়র রিপোর্টটি দেখতে চান। তাঁকে দেওয়ার জন্য রিপোর্টের ফোটোকপি করা হয়।
|
আবর্জনায় পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হল দু’টি শিশু। মঙ্গলবার, কসবা থানার রাজডাঙার হিন্দুপাড়ায়। পুলিশ জানায়, ওই এলাকার খালধারে প্যাকেটে কয়েকটি দেশি বোমা পড়ে ছিল। তবে সেগুলি তাজা না থাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতা কম ছিল। |