মুখপাত্র থেকে মুখ্য চরিত্র। খাতা কলমের অধিনায়ক থেকে বাস্তবের মহানায়ক। ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গলে যোগ্য সম্মানের আসনে বসতে এগারোটা আই লিগের ম্যাচ লাগল সঞ্জু প্রধানের। তার পরেও কি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে পাহাড়ি বিছের প্রথম দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে?
রবিবাসরীয় দুপুরে জোড়া প্রত্যাবর্তন দেখল কল্যাণী। পরপর দু’টো ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে ফের জয়ের হাইওয়েতে ইস্টবেঙ্গল। এবং চোখ ধাঁধানো দু’টো গোল করে লাল-হলুদে সঞ্জুর যেন পুনর্জন্ম। প্রথমটা কুড়ি গজ দূর থেকে ডান পায়ের আউটস্টেপে। অন্যটা পঁচিশ গজ দূর থেকে ডান পায়ের ইনস্টেপে। অ্যারোজের বিরুদ্ধে যে দু’টো গোল করলেন তার পুনরাবৃত্তি আর কখনও ঘটাতে পাররেন কি না, সে তো সময় বলবে। তবে ইসফাক-ভাসুমদের পিছনে ঠেলে সঞ্জু যে মর্গ্যানের ‘গুডবুকে’ সহজেই ঢুকে পড়লেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ম্যাচের পরে লাল-হলুদ কোচ বললেন, “সঞ্জু অসাধারণ প্রতিভা। প্রকৃত টিম ম্যান। আমার দলে প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গেল।”
অ্যারোজের বিরুদ্ধে আই লিগে সম্ভবত এ বারের সেরা ম্যাচটাই উপহার দিল ইস্টবেঙ্গল। যেখানে সঞ্জুর কেরামতি এক নম্বরে থাকলে, হরমনজিৎ সিংহ খাবড়ার খেলার বৈচিত্র, অর্ণবের আত্মবিশ্বাস এবং পেনের বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলও সমান নজর টানল। |
ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে চলে যাওয়ায় রহিম নবির মতো ‘ইউটিলিটি’ ফুটবলারের অভাবে ভুগতেন মর্গ্যান। তবে ইদানীং মাঠে খাবরা যে মাপের ভরসা জুগিয়েছেন, তাতে নবির উত্তরসূরিকে ‘পঞ্জাব দ্য পুত্তর’-এর মধ্যেই খুঁজে পাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। ফরোয়ার্ড এবং মাঝমাঠের দায়িত্ব সামলানোর পরে এ বার রক্ষণ আগলাতে দেখা গেল তাঁকে। সৌমিক-ওপারার মতো দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডাররা যে নেই, সেটা টের-ই পেতে দিলেন না। আর অর্ণব? যত দিন এগোচ্ছে আরও যেন পরিণত হচ্ছেন এই বঙ্গসন্তান স্টপার।
হরমনজিতের সৌজন্যেই প্রথম বার কম্বিনেশন বদলে আলোর সন্ধানে নেমেছিলেন মর্গ্যান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ২-৫-৩ ছকে। নিট ফল, আর্থার পাপাসের দল মাথা তুলতে পারল না। অ্যারোজ কোচও বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের কাছে সব বিভাগেই হেরেছি।” কিন্তু সব ভালর মধ্যে কি কোনও অন্ধকার নেই ইস্টবেঙ্গলে? আছে। চিডির গোল নষ্ট এবং রবিনের বোহেমিয়ান খেলা। রবিন একটি গোল করলেও, তাতে পেনের ভূমিকাই বেশি। উলটে লাল-হলুদের দুই স্ট্রাইকার সম্মিলিত ভাবে একগুচ্ছ সিটার নষ্ট না করলে অন্তত সাত গোলে জেতা উচিত ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
|
ইস্টবেঙ্গল: অভিজিৎ, অর্ণব, রাজু, হরমনজিৎ, রবার্ট, লালরিন্দিকা (অ্যালভিটো), মেহতাব, পেন (কেভিন), সঞ্জু, রবিন (মননদীপ), চিডি।
|
• ভবানীপুর ব্যায়াম সঙ্ঘের মন্তেসরি টেবল টেনিস প্রশিক্ষণ শিবির শেষ সোমবার। পাঁচ থেকে সাত বছরের পঞ্চাশ শিক্ষার্থীকে পদক এবং শংসাপত্র দেবেন চুনী গোস্বামী ও অনিন্দিতা চক্রবর্তী।
•
৫-৬ জানুয়ারি বেহালা হরিসভা ময়দানে আন্তঃস্কুল দাবা। বেহালা চেস স্কুল। |