ওরা পথ নাটিকার মাধ্যমে চা বাগানের অন্য বাসিন্দাদের শেখাবে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ার উপায়। জানাবে স্বাস্থ্য সচেতনতার নানা দিক। ডুয়ার্সের মধু চা বাগানের ১৭ জন কিশোর কিশোরী এখন ব্যস্ত নাটকের মহড়ায়। দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এ কাজে যোগ দেয় কিশোর কিশোরীরা। কালচিনির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাকেশ চক্রবর্তী বলেন, “চা বাগান ও বন বস্তিগুলিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য নানা ধরণের রোগ চড়ায়। বস্তিগুলিতে নানা গবাদি পালন, অস্বাস্থ্যকর জায়গা থেকে পানীয় জল সংগ্রহের জন্য পেটের রোগ লেগেই থাকে। নানা সংক্রমণের ঘটনাও ঘটে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মাঝে মাঝে সচেতনা শিবির করা হয়।” তিনি জানান, পথ নাটিকার দল নিয়মিত এলাকাগুলিতে প্রচার চালালে সচেতনতা বাড়বে। আমরা চেষ্টা করব মধু চা বাগনের ওই দলটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকার শিবির করানোর। অ্যাহেড ইনেসিয়েটিভের মানিক সিংহ জানান, বাগানগুলিতে স্বাস্থ্য সচেতনা প্রচারে এই ধরনের দল ছিল না। |
সাঁতালি গ্রাম পঞ্চায়েতর সঙ্গে যোগাযোগ করে মধু চা বাগানের ক্লাস সেভেন থেকে নাইন পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে পথ নাটিকার দল গড়া হয়েছে। এর মহড়ায় সাহায্য করছে উত্তরবঙ্গ ধুমকুড়িয়া আ্যাকাডেমিক ট্রাস্ট। প্রথমে প্রত্যেক সদস্যকে নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয় শেখানো হচ্ছে। নাটকের মাধ্যমে বাগান এলাকায় জলের পাইপ ফুটো করে জল সংগ্রহ করা হয়। তাতে কী ভাবে নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে তা শেখানো হচ্ছে। ধুমকুড়িয়ার সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা রোশনি খাড়িয়া জানান, ‘গাঁয়ের কথা’ নামে একটি নাটিকার মাধ্যমে প্রথমে মধু চা বাগান ও পরে অন্য বাগানে স্বাস্থ্য সচেতনার প্রচার করা হবে। গত শনিবার থেকে মধু চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাগান না খুললে পরিস্থিতির অবনতি হবে। বাসিন্দাদের মনোবল বাড়াতে ও স্বাস্থ্য সচেতনার প্রচার করা হবে। ইতিমধ্যে মধু চা বাগানের মাঠে জোরকদমে চলছে নাটকের মহড়া। নাটকের বিভিন্ন ভুমিকায় অভিনয় করা ক্লাস এইটের প্রিয়াঙ্কা ওরাঁও, রোশনি বাক্সলা, মসিহা মুন্ডারা জানায়, আগে আমরা দাঁত দিয়ে নখ কাটতাম। নাটক করতে এসে শিখেছি দাঁত দিয়ে নখ কাটলে পেটের রোগ হয়। খাবার জল পরিষ্কার জায়গা থেকে নিতে হয়। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করলে দূষণ ও রোগ ছড়ায় এ সব আমরা নাটকের মাধ্যমে অন্যদের শেখাব। |