রবিবার পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৯ জন তীর্থযাত্রী। পেশোয়ার থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় ২১ জন সেনাকে।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের লাহৌর, ঝঙ্গ ও মুলতান থেকে তিনটি বাসে করে ইরান যাচ্ছিলেন তীর্থযাত্রীরা। বালুচিস্তান প্রদেশের মাস্তাঙ্গ জেলা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে রাখা একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি বাস। অন্য দু’টি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন অন্তত ১৯ জন যাত্রী। আহত আরও ২৫ জন। তাঁরা চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অনেকেই জীবন্ত পুড়ে মারা যান।
বালুচিস্তানের ডেপুটি কমিশনার তুফেল বালোচ জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা ছিল। রিমোটের মাধ্যমে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। প্রায় ৮০ কেজি বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে অনুমান বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে ঘটনাটির পিছনে নিষিদ্ধ লস্কর-ই-জঙ্গভির হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পৃথক একটি ঘটনায় পেশোয়ারের ২১ জন সেনাকে গুলি করে হত্যা করে পাক তালিবান। বৃহস্পতিবার দু’শোরও বেশি তালিবান জঙ্গি সেনার বেশে হামলা চালায় সেখানকার তিনটি চেক-পোস্টে। ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। ২৩ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে দু’জন পালাতে সক্ষম হন। তাঁদের এক জন গুরুতর আহত। স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। বাকি ২১ জনকে একটি ক্রিকেট মাঠে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। হাত বেঁধে রেখে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদের। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তারিখ-ই-তালিবান পাকিস্তান নামের এক জঙ্গি গোষ্ঠী।
|
সমব্যথী প্রবাসীরাও
ওয়াশিংটন • মেলবোর্ন |
ধর্ষিতা তরুণীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মোমবাতি হাতে রবিবার মিছিল করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী ভারতীয়রাও। দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডে ওই ছয় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন তাঁরা। ওয়াশিংটনের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই এ দিন গাঁধী-মূর্তির পাদদেশে জমা হন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সেখানেই মোমবাতি মিছিল করেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মোমবাতি মিছিল করেন প্রবাসীরা। সিডনিতেও আয়োজন করা হয় একটি শোকসভার। লন্ডনে অবশ্য প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান প্রবাসী ভারতীয়রা। |