স্কুল ভোট নিয়ে রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষ হল বর্ধমান ও জলপাইগুড়িতে। বর্ধমানের আউশগ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে জখম হলেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ সাত পুলিশকর্মী। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভাঙামালি-কুকুরজান এলাকায় পরস্পরের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় ও সমর্থকদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
আউশগ্রামের বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ছ’টি আসনেই তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীও ছিলেন সব আসনে। এ দিন ভোট শুরুর পরেই তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ডিএসপি (ক্রাইম) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁর পায়ে বোমার টুকরো লাগে। আহত হন তাঁর দেহরক্ষী-সহ আরও ছয় পুলিশকর্মী। ডিএসপি-কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “৪৭টি বোমা উদ্ধার ও ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে।” ওই স্কুলের ছ’টি আসনেই জয়ী হন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূলের বর্ধমানের পর্যবেক্ষক অলোক দাসের দাবি, সিপিএমই গোলমাল পাকিয়েছে। সিপিএমের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদারের পাল্টা দাবি, “কারা গোলমাল করেছে মানুষ জানেন। পুলিশ তাদেরই ধরেছে।”
জলপাইগুড়ির কুকুরজান স্কুলের ভোট নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত ২৩ ডিসেম্বর। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন তাঁদের ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, তিন সমর্থকের দোকানেও সিপিএমের লোকজন হামলা করেছে। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকেরাই ভাঙামালিতে তাদের অফিস ভাঙচুর করে। লুঠ হয়েছে তাদের সমর্থকদের বাড়ি-দোকানেও। দু’পক্ষের ছ’জন জখম হন। চার জন গ্রেফতার হয়েছে। |