ঘরে ফিরলেন বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবীরা
প্রায় এক মাস বাংলাদেশে আটক থাকার পর ৪৬ জন মৎস্যজীবী-সহ তিনটি ট্রলার রবিবার নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর ঘাটে ফিরল। তবে এখনও সেদেশে আটক রয়েছেন বেশ কিছু মৎস্যজীবী।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দর থেকে ৮-১০টি ট্রলারে করে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন। ৫ নভেম্বর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে দিক ভুল করে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে এফ বি মা গঙ্গা, এফ বি মা গঙ্গা ২, এ বি সত্যনারায়ণ, এফ বি খোকন ও এফ বি ঢাকেশ্বরী নামে ৫টি ট্রলার। ট্রলারগুলিতে মোট ৭২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। বাংলাদেশের নৌবাহিনী ট্রলারগুলি আটক করে।
এ দিন ঘরে ফিরে মৎস্যজীবীরা জানান, আটক করার পর তাঁদের বাংলাদেশের বাঘেরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
ঘরে ফেরার পরে।—নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সকাল থেকেই নামখানা ঘাটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আটক মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের প্রিয়জনের জন্য। মৎস্যজীবীরা নামখানা ঘাটে নামার পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি প্রিয়জনেরা। দীর্ঘদিন আটক থাকার পর গ্রামে ফিরে মনোরঞ্জন দাস, গোপাল দাস, বিকাশ দাস, কানাই দাস বাংলাদেশে তাঁদের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার ও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ করেন।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে আটকে রাখার বিষয়টি ৬ নভেম্বর জানার পরে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁদের সহযোগিতাতেই আমরা কিছু মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। তবে এখনও ২টি ট্রলার সহ ২৬ জন আটক রয়েছেন। তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”
জেলা শাসক নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, “বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিছু মৎস্যজীবী ফিরে এসেছেন। বাকিদের ৫ ডিসেম্বর জামিন পাওয়ার কথা। তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.